প্রাকৃতিক সাত আশ্চর্য নির্বাচনের ভোটাভুটিতে প্রথম স্থানে কক্সবাজার
৭ জানুয়ারি ২০০৮স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে কারা ঠিক করছে প্রাকৃতিক সাত আশ্চর্য? অনেকেই হয়তো জানেন যে গত বছরের ৭ জুলাই পৃথিবীতে মানুষের সৃষ্ট সাত আশ্চর্যে পরিবর্তন আনা হয়৷ অনলাইনে ভোটাভুটির মাধ্যমে মানুষের সৃষ্ট নতুন সাত আশ্চর্য নির্বাচন করে নিউ সেভেন ওয়ান্ডারস ফাউন্ডেশন নামক একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান৷
এরপর পরই নিউ সেভেন ওয়ান্ডারস ফাউন্ডেশন প্রাকৃতিক সাত আশ্চর্য নির্বাচনে মনোযোগী হয়৷ প্রথমে শুরু হয় মনোনয়ন গ্রহণ প্রক্রিয়া৷ এই প্রক্রিয়ায় বাঙ্গালীদের সক্রিয় অংশগ্রহনের ফলে ঢুকে পড়ে কক্সবাজার ও সুন্দরবন এর নাম৷ এরপর বিশ্ববাসীর ভোটে ১৫৮টি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে কক্সবাজার ও সুন্দরবন চলে আসে তালিকার প্রথম দিকে৷ বর্তমানে এখন পর্যন্ত কক্সবাজার আছে প্রথম স্থানে৷ এই তালিকায় দ্বিতীয় থেকে সপ্তম অবস্থানে আছে যথাক্রমে সুন্দরবন, গঙ্গা নদী, নেপালের মাউন্ট এভারেস্ট, সার্বিয়ার পাথুড়ে পাহাড় দাভোলিয়া ভারোস, ভিয়েতনামের হা লঙ বে উপসাগর এবং আমাজন বন৷
সারা পৃথিবীর ১৫৮টি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে শীর্ষস্থান ধরে রাখাটা এত সহজ নয়৷ প্রাথমিকভাবে অনলাইন ভোটাভুটিও চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত৷ এই ভোটাভুটির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের তালিকাটি ছোট করে ২১টি করা হবে৷ তারপর আবারো ভোট ও বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী ২০১০ সালে চুড়ান্ত করা হবে প্রাকৃতিক সাত আশ্চর্য৷ আর তাই চুড়ান্তভাবে প্রাকৃতিক সাত আশ্চর্যে নাম লিখাতে হলে শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত কক্সবাজার ও সুন্দরবনকে থাকতে হবে সেরা সাতের মধ্যে৷
কক্সবাজারকে শীর্ষ স্থানে ধরে রাখতে হলে নিয়মিতই দিতে হবে ভোট৷ ইন্টারেনেটে ই-মেইল ঠিকানা আছে এরকম যেকেউই দিতে পারেন ভোট৷