প্রতিহিংসার রাজনীতি কীভাবে বন্ধ করা যায়?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘প্রতিহিংসা’ যেন অবিচ্ছেদ্য৷ কিন্তু এ থেকে তো মুক্তি দরকার৷ কীভাবে রাজনীতিকে প্রতিহিংসামুক্ত করা যায়? সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ এ বিষয়েই কথা বলেছেন৷ দেখুন ছবিঘরে...
মাহবুবুল আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী লীগ
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ জানালেন, তিনি একেবারেই প্রতিহিংসার রাজনীতির পক্ষে নন৷ তিনি মনে করেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে হলে দেশে আইনের কঠোর প্রয়োগ থাকতে হবে৷ আর সেটা হলেই কেউ প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার সাহস পাবে না৷
রুহুল কবীর রিজভী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব, বিএনপি
একজন বিবেকমান মানুষ মাত্রই প্রতিহিংসার রাজনীতিকে হিংসা করবেন৷ প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে হলে সবাইকে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে৷
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সভাপতি, জাতীয় প্রেস ক্লাব
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধ করতে হলে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে, কেননা, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে স্বাধীনতাবিরোধীরাই এদেশের রাজীতিতে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেছে বিভিন্ন সময়ে৷
তোফাজ্জল হোসেন, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
রাজনীতিতে প্রতিহিংসা বন্ধ করতে হলে দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা বাড়াতে হবে৷ রাজনৈতিক স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখলে কেউ প্রতিহিংসাপরায়ন হতে পারবে না৷
মাসুম বিল্লাহ, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
রাজনীতিতে প্রতিহিংসা থাকা উচিত না৷ আর এটা বন্ধ করতে হলে মানুষের সাথে মানুষের সহমর্মিতা বাড়াতে হবে৷
মোশতাক আহমেদ, ব্যবসায়ী
দেশের উন্নয়নের প্রধান বাধাই হলো প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি৷ তাই এটা বন্ধ করতে হলে এক দলের প্রতি আরেক দলের সমর্থকদের সম্মানবোধ বাড়াতে হবে৷
আবুল কাশেম, ২১শে আগস্ট হামলার শিকার
২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার শিকার হয়েছিলেন আবুল কাশেম৷ এখনও শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন গ্রেনেডের স্প্লিন্টার৷ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা তাঁর জীবনের অনেক স্বপ্নই ভেঙে দিয়েছে৷ খুব হতাশা নিয়েই তিনি বললেন, ‘‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধ না হলে এ দেশের উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়৷’’
আব্দুল কাদের, পরিবহন শ্রমিক
প্রতিহিংসার রাজনীতি কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না৷ আর এটা বন্ধ করতে হলে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে৷
রবীন্দ্র ঘোষ, মানবাধিকার কর্মী
প্রতিহিংসার রাজনীতি এ দেশকে সম্পূর্ণরূপে খেয়ে ফেলেছে৷ এ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সবাইকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একযোগে দেশের উন্নয়নের কাজে মনোনিবেশ করতে হবে৷
সৈয়দ সাইফুল আলম, সমাজকর্মী
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা অবশ্যই বন্ধ করা উচিত৷ এটা করতে হলে সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে৷