পেরুর রহস্যজনক নকশা
পেরুর ‘নাসকা লাইন’ বিশ্বখ্যাত৷ সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা সে দেশের পালপা রাজ্যে একইরকম নকশার (জিওগ্লিফ) সন্ধান পেয়েছেন৷ সম্ভবত সেগুলো আরও পুরনো৷ এর মাধ্যমে এগুলো যাঁরা বানিয়েছেন তাঁদের প্রাচীন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা যাবে৷
বিশাল জিওগ্লিফ
প্রত্নতত্ত্ববিদরা ড্রোনের সাহায্যে জিওগ্লিফের ছবি তুলেছেন৷ এভাবে মানুষ ও জীবজন্তুর ৫০টি জ্যামিতিক ছবি পাওয়া গিয়েছে৷ এর মধ্যে ২৫টি একদমই নতুন৷
পৌরাণিক প্রতীক
পেরুর ভূপ্রকৃতিতে বানর আর তিমির চিত্র পাওয়া গিয়েছে৷ রয়েছে যোদ্ধার ছবিও৷ অনেক সময় খালি চোখেও এগুলো চিহ্নিত করা যায়৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু চিত্র অবশ্য অবলুপ্তও হয়ে গেছে৷
উন্মুক্ত অবস্থানে
নাসকা লাইন মরুভূমির প্রান্তে অবস্থিত৷ আর নতুন পাওয়া ছবিগুলি পর্বতের শৈলশিরায় পাওয়া গেছে৷ ফলে সমতল থেকে সেগুলো দেখা যায়৷ স্থানীয় গ্রামবাসীরা এগুলোর কথা অনেক আগে থেকেই জানতেন
একটা প্রাচীন সভ্যতার সাক্ষী
পালপা প্রদেশের এই চিত্রগুলি হাজার বছরের পুরনো৷ ৫০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যেই এগুলি তৈরি করা হয়েছে৷ যারা তৈরি করেছে তারা সম্ভবত পারাকাস এবং টোপারা সংস্কৃতির মানুষ৷
ধর্মীয় রীতি মেনে
অনুসন্ধান করে দেখা গিয়েছে যে, এই চিত্রগুলি বিভিন্ন ধর্মীয় রীতিনীতির জন্যই তৈরি করা৷ বহু ক্ষেত্রে এগুলির সংগে উর্বরতার যোগ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু অস্থিরতার সময় আদিবাসীরা এসব তৈরি করেছেন৷
পেরুর নিজস্ব সংস্কৃতি
পালপা প্রদেশে পাওয়া এই লাইনগুলি অবলম্বন করে ওই অঞ্চলের সংস্কৃতির নতুন ধারণা পাওয়া যাবে৷ এছাড়া এগুলো কেন তৈরি করা হয়েছিল তাও হয়ত বিজ্ঞানীরা জানতে পারবেন, বলে মনে করেন নাসকা লাইনের প্রধান পুনরুদ্ধারকারী৷