পুরানো দিল্লির সংকীর্ণ গলিতে ঘুরেছেন ভেস্টারভেলে
২৪ অক্টোবর ২০১০মিউনিখ থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্যুদডয়চে সাইটুং লিখছে: ভারতকে ভেস্টারভেলে ‘‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র'' বলে উল্লেখ করেছেন একাধিকবার৷ একই সঙ্গে তাঁর কর্মকালের প্রথম বছরেই ভারত সফরে আসাটা তাঁর জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ, সেকথাও তিনি বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, পুরানো দিল্লির সংকীর্ণ গলিতে ঘুরেছেন ভেস্টারভেলে, জুতোমোজা খুলে, কমলা রং-এর কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে একটি শিখ মন্দিরে ঢোকেন৷ একটি ফটোতে দেখা যায়, মন্ত্রী হাঁটু গেড়ে বসে এক বৃদ্ধের কাছ থেকে আচার অনুষ্ঠানের ব্যাখ্যা শুনছেন৷ এভাবে দেরিতে হলেও এমন এক ভেস্টারভেলের ছবি পাওয়া গেছে যিনি একটি দেশ ও তার মানুষ সম্পর্কে এবং তাঁর কাজ সম্পর্কে আগ্রহী৷
ভারত জার্মানি দু'দেশই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়েছে খুব সম্প্রতি৷ এই প্রেক্ষাপটে ভেস্টারভেলে নিরাপত্তা পরিষদে ভারতীয়দের সঙ্গে ‘‘ঘনিষ্ঠতম সহযোগিতার'' কথা বলেছেন জোরেশোরে৷ জানিয়েছেন, জাতিসংঘের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের লক্ষ্য পূরণের কাজ দুই দেশ একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাবে৷ জার্মানিতে ‘মুল্টিকুল্টি' অর্থাৎ কিনা মালটিকালচারিজম ব্যর্থ, চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের এরকম বক্তব্য নিয়ে বেশ বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে৷ ভারতে এসম্পর্কিত এক প্রশ্নের মুখোমুখি হন ভেস্টারভেলে৷ জার্মান পত্রিকায় তার বিশদ উল্লেখ লক্ষ্য করা গেছে৷
দৈনিক ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং লিখছে: আঙ্গেলা ম্যর্কেলের বক্তব্য এমন এক ঢেউ তুলেছে, যা পৌঁছে গেছে ভারত পর্যন্ত৷ গান্ধী ভবনে বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি বলেন, ‘‘যারা জার্মানিতে বসবাস করছেন তাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, তারা আমাদের মূল্যবোধগুলো সম্মান করবেন এবং নিজেদের সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে সক্রিয় হবেন৷'' তিনি একই সঙ্গে একথাও বলেন যে, জার্মানি হল এক খোলামেলা দেশ এবং অবশ্যই ভারতীয়দের জন্যও৷
ডি ভেল্ট পত্রিকা জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফরের আলোকে লিখছে যে, ভেস্টারভেলের কাছে ভারত সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে শুধু স্থিতিস্থাপকই নয়, জার্মানির কাছে এক কৌশলী সহযোগীও৷ ভারতের সাংস্কৃতিক বহুত্ব সম্পর্কে ব্যাপক আগ্রহের প্রকাশ ঘটিয়ে এবং উপমহাদেশের এই দেশটিতে তিন দিন সফর করে অর্থনীতি ও বিশ্বরাজনীতির ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রসরমান ঐ স্বাগতিক দেশের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধাবোধের প্রকাশ ঘটিয়েছেন ভেস্টারভেলে৷
ভাষান্তর: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ