পিঙ্ক কার্নেশনরা দেশে ফিরল
১৯ জুলাই ২০১১ভূমিকম্প-সুনামি-পরমাণু বিপর্যয় বিধ্বস্ত একটি দেশকে আবার হাসতে শেখাল, কাঁদতে শেখাল এই এক মুঠো পিঙ্ক কার্নেশন৷ কিন্তু পিঙ্ক কার্নশনের মতোই লাজুক, মুখচোরা তারা৷ নেমে শ'দুয়েক ফ্যান কিন্তু শ'তিনেক ফোটোগ্রাফারের ভিড় দেখে পালাতে পারলে বাঁচে! নাদেশিকোদের ক্যাপ্টেন হোমারে সাওয়া নিজেই বলেছে: ‘‘আমরা যে বিশ্বকাপ জিতেছি, সেটা উপলব্ধি করলাম নারিতা এয়ারপোর্টে নেমে!''
জাপানের হয়ে ১৭৩টি ইন্টারন্যাশনালে খেলে ৮০টি গোল করেছেন এই সাওয়া৷ এই বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট এবং গোল্ডেন বল জিতেছেন, পেয়েছেন ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড৷ কিন্তু মিডিয়ার সামনে তারই সব ভুলভাল হয়ে যাচ্ছে৷ বলবার আগে বসে পড়ছেন, আবার দাঁড়িয়ে উঠে লজ্জায় মুখ ঢাকছেন৷ ‘‘এতো লোক যে আমাদের স্বাগত জানাতে এসেছে, এ কোনোদিন দেখিনি৷'' আর কোচ নোরিও সাসাকি বলছেন, এ'তো পুরুষদের টিমকে স্বাগত জানানোর মতো৷
সাওয়া বললেন: ‘‘আমরা জাপানের মানুষদের কাছ থেকে অবিশ্বাস্য সমর্থন পেয়েছি৷ আমরা সেই শক্তি আর সাহসের কিছুটা স্বদেশের বিপর্যস্তদের ফিরিয়ে দিতে চেয়েছি৷'' তাহলে কোচ সাসাকির এই গল্পটা যোগ করে সাওয়াকে লজ্জায় ফেলতে ইচ্ছে করছে৷ পেনাল্টি শুটআউটে কে কে থাকবে, সাসাকি যখন তার তালিকা তৈরি করছেন, তখন এই সাওয়াই নাকি বলে উঠেছিলেন: ‘‘আমি ও'তে নেই!''
নয়তো এই নাদেশিকো দলে অবিশ্বাস্য প্রেরণা আর সংহতি আছে, বলেছেন সাওয়া৷ আর সাসাকি বলেছেন, এখানেই থামলে চলবে না৷ আগামী বছর লন্ডন অলিম্পিকের জন্য কোয়ালিফাই করতে হবে৷ সাওয়া যোগ করেছেন, ‘‘এযাবৎ আমরা কোনো অলিম্পিক খেতাব জিতিনি৷ সেটাই হবে আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য৷''
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন