পাহাড়ে পয়লা বৈশাখ যেমন
১৪ এপ্রিল ২০১০নতুন বছরকে বরণ করতে এবং বৈশাখ মাসকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায় শুরু হয়েছে বৈসাবি উৎসব৷ চলছে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান৷ চারিদিকে আনন্দমেলা৷
চাকমা জাতিগোষ্ঠী এই উৎসবকে ডাকে বিজু নামে, ত্রিপুরাদের ভাষায় বৈসুক এবং মারমারা বলে সাংগ্রাই, তংচঙ্গ্যাদের ভাষায় বিসু এবং অহমিয়াদের ভাষায় বিহু৷ সব মিলিয়ে ‘বৈসাবি৷
খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি আর বান্দরবানে মূলত চাকমা, মারমা, ম্রো-মুরং, তঞ্চ্যঙ্গা, বোম, খিয়াং, পাংখোয়া, লুসাই, ত্রিপুরা, খুমী, চাক জনগোষ্ঠীর বাস৷ বাংলা বছরের শেষ দুদিন থেকে পহেলা বৈশাখ পর্যন্ত এখানকার প্রতিটি জনগোষ্ঠী বেশ ঘটা করে নিজস্ব ভঙ্গি ও রীতিতেই বর্ষবিদায় এবং বর্ষবরণ করে৷ গত সোমবার থেকে পার্বত্য এলাকায় শুরু হয়েছে বৈসাবি উৎসব৷ ১লা বৈশাখ মূল অনুষ্ঠান৷ এই উৎসবকে ঘিরে পার্বত্য চট্টগ্রাম জুড়ে এখন উৎসবের আমেজ৷ পাহাড়ের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব এটি৷
উৎসবকে সামনে রেখে রাঙ্গামাটি স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন ধরনের আদিবাসী খেলাধুলার৷ সেখানে অনুষ্ঠিত হয় কাবাডি, খো খো, বলি খেলা, তুমরু খেলা৷ কিন্তু এইবার অনুষ্ঠানমালায় পাহাড়ে সম্প্রতিক সহিংসতা, আর্থিক সংকট এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বৈসাবি অনুষ্ঠান অনেকটা সংক্ষিপ্ত করে আনা হয়েছে বলেই খবর৷
তিনদিনব্যাপী এই উৎসবের প্রথম দিনটিকে চাকমা ভাষায় বলা হয় ফুল বিজু, দ্বিতীয় দিনকে ‘মূল বিজু' এবং তৃতীয় দিনকে ‘নুয়াবঝর' বা ‘গোজ্যা পোজ্যা দিন৷ ত্রিপুরা গোষ্ঠী এই উৎসবের প্রথম দিনকে ‘হারিকুইসুক' দ্বিতীয় দিনকে ‘বুইসুকমা' এবং তৃতীয় দিনকে ‘বিসিকাতাল' নামেই ডাকে৷
এদিকে, বাংলাদেশের সীমা ছাড়িয়ে পহেলা বৈশাখ তথা ১৪ এপ্রিল মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডেও পালিত হচ্ছে এই উৎসব৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল- ফারূক