পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল সফর শেষ করলেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল
২৮ মে ২০১০বৃহস্পতিবার দিনের শেষ ভাগে বাহরাইন সফরের মাধ্যমে শেষ হয় জার্মান চ্যান্সেলরের এবারের সফর৷ তিনি এর আগেও এই অঞ্চল সফর করেছিলেন ২০০৭ সালে৷ বাহরাইনে তাঁর সঙ্গে কথা হয় সে দেশের প্রধানমন্ত্রী খালিফা বিন সালমান আল খালিফার সঙ্গে৷ অত্যাবশ্যকীয় ভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্য এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়টিই ছিল প্রধান আলোচ্য৷
বাইরাইনের আগে তিনি সফর করেন কাতার৷ তিনি কথা বলেন সেখানকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে৷ ব্যবসায়ীরা বর্তমান সময়ে বিশ্ববাজারে ইউরোর মূল্য পতনের বিষয়টির প্রতি চ্যান্সেলরের দৃষ্টি আকর্ষন করেছিলেন৷ জবাবে ম্যার্কেল বলছেন, ‘ইউরোপীয় অঞ্চলে একক মুদ্রা ইউরো বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জের মুখে আছে, সেই বিষয়টি আপনাদের ভাবাচ্ছে, তা আমি জানি৷' ‘জার্মানি হচ্ছে ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ' এই কথা উল্লেখ করে ম্যার্কেল ব্যবসায়ীদের আশ্বস্থ করে বলেন, ‘আমরা এই অবস্থার অবসানে কাজ করবো, ফলে আগে যেমন ইউরো থেকে সকলে সুবিধা পেয়েছিলেন, আবারো তা পাওযা যাবে৷' তিনি ঐ অঞ্চলের ব্যবসায়ী এবং সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আসুন আমরা দ্বিপাক্ষিক লাভের জন্য বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলি৷' তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উপর গুরুত্বারোপ করেন৷ আর তাই কাতারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, এই অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্য-সুসম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ জার্মানি হারাতে চায় না৷
তবে কি এই সফরে কেবল ‘বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্ণী' নিয়েই আলোচনা হয়েছে?- না তা নয়৷ ম্যার্কেল কথা বলেছেন ইতিহাস ঐতিহ্য এবং শিল্প সংস্কৃতি নিয়েও৷ জানিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা নিয়ে জার্মানির উদ্বেগের কথাও৷ ইরান ইস্যুতে ম্যর্কেলের মন্তব্য হচ্ছে, তাদের কার্ডটি কিন্তু ইরানের হাতে৷ ইরান যদি তার পরমাণু ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কথার প্রতি শ্রদ্ধা জানায় সেটা ভালো ফল বয়ে আনবে৷ আর তিনি বলেই দিলেন যে ইরানের সঙ্গে চলমান সমস্যাটি সমাধান করতে হবে কূটনৈতিক ভাবে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম