পাকিস্তানে যৌন শিক্ষা কেমন চলছে?
১৩ অক্টোবর ২০১৯নব্বইয়ের দশকে পাকিস্তানে ‘লেডি হেল্থ ওয়ার্কার্স' বা এলএইচডাব্লিউ কর্মসূচি চালু হয়৷ প্রায় ২২ হাজার কর্মী এতে কাজ করছেন৷
শাহিদা সুমরু তাঁদের একজন৷ সিন্ধু প্রদেশের ভিত শাহ এলাকায় কাজ করেন তিনি৷ অল্পবয়সি মায়েদের অপরিকল্পিত ও নিয়মিত গর্ভধারণ এড়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷ গর্ভনিরোধক বড়ি, কনডম, ইনজেকশনসহ জন্ম নিয়ন্ত্রণের নানান উপায় সম্পর্কেও তাঁদের জানান শাহিদা৷
তবে সবাই যে তাঁর সব কথা গ্রহণ করেন তা নয়৷ শাহিদা বলেন, ‘‘(মহিলাদের মধ্য) অনেক ধরণের মিথ ও ভুল ধারনা আছে৷ এছাড়া অনেকে ভয় পান এই ভেবে যে, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি তাঁদের বন্ধ্যা করে দিতে পারে৷ অন্যরা মনে করেন, এসব পদ্ধতি ধর্মবিরোধী৷''
গত সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, পাকিস্তানের প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ বিবাহিত নারীর প্রায় অর্ধেক জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করেন না৷ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গুটমাকার ইন্সটিটিউট ও পপুলেশন কাউন্সিল এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে৷
ঐ রিপোর্টে আরও বলা হয়, পাকিস্তানে প্রতিবছর প্রায় ৩৮ লাখ অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণের ঘটনা ঘটে৷
বিশ্লেষকরা বলছেন, পর্যাপ্ত তহবিলের অভাবে এলএইচডাব্লিউ কর্মসূচির কাজ ভালোভাবে এগোচ্ছে না৷ এমনকি শাহিদার মতো কর্মীরা অনেকসময় মাসের পর মাস বেতন পান না৷
পরিস্থিতির উন্নয়নে এলএইচডাব্লিউ কর্মসূচির তহবিল বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা৷ পপুলেশন কাউন্সিলের পাকিস্তানের কান্ট্রি ডিরেক্টর জেবা সাথার বলেন, ‘‘আমাদের রিপোর্ট এটিই প্রমাণ করছে যে, পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির জন্য অতিরিক্ত অর্থায়নের প্রয়োজন রয়েছে৷''
গবেষণা বলছে, পাকিস্তান সরকার বর্তমানে গর্ভনিরোধক বড়ির পেছনে বছরে ৬৮৬ কোটি টাকা ব্যয় করে৷ কিন্তু টাকার পরিমাণটি যদি দ্বিগুণ করা যায় তাহলে ৩১ লাখ অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ ঠেকানো সম্ভব বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে৷
শাহজেব জিলানি/জেডএইচ