লুডভিশ ম্যাক্সিমিলিয়ান ইউনিভার্সিটি
৩ ডিসেম্বর ২০১২কেবল জার্মানি নয় গোটা ইউরোপের মধ্যে অন্যতম স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মিউনিখের লুডভিশ ম্যাক্সিমিলিয়ান ইউনিভার্সিটি বা এলএমইউ৷ বিগত ১৪৭২ সালে বাভারিয়া রাজ্যের ডিউক লুডভিশ এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন৷ তখন তিনি হয়তো কল্পনাও করতে পারেন নি যে সাড়ে পাঁচশ বছর পরেও হাজার হাজার জ্ঞান পিপাসুর বিচরণে মুখরিত থাকবে এই বিশ্ববিদ্যালয়৷ এখন পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৩ জন গবেষক তাদের কাজের জন্য নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন৷
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে মোট ১৮টি ফ্যাকাল্টি যার অধীনে বিভিন্ন বিভাগ শিক্ষাদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে৷ প্রায় দেড়শ বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ আছে মিউনিখের এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে৷ প্রায় সাতশ অধ্যাপক ও সাড়ে তিন হাজারের বেশি জনবল নিয়ে চলছে এলএমইউ৷ এখানে পড়াশোনা করছে ৪৮ হাজার ছাত্রছাত্রী৷ এদের মধ্যে শতকরা ১৪ ভাগ শিক্ষার্থীই জার্মানির বাইরে থেকে আসা৷ বেশিরভাগ জার্মান মাধ্যমে হলেও ইংরেজি মাধ্যমেও বেশ কিছু বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে৷
জার্মানির মধ্যে মিউনিখ হচ্ছে অত্যন্ত ব্যয়বহুল শহর৷ এখানে জীবনযাত্রার খরচও তাই বেশি৷ জার্মানির অনেক রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে লুডভিশ ম্যাক্সিমিলিয়ান ইউনিভার্সিটিতে প্রতি সেমেস্টারের ফি তুলনামূলক বেশি৷ এছাড়া ছাত্রদের নিজের পকেট থেকে যাতায়াতের খরচ দিতে হয়, জানালেন বাংলাদেশি ছাত্র মোহাম্মদ মুনমুন হাসান মোল্লা৷ এই কারণে প্রতি মাসে তাঁকে অতিরিক্ত পঞ্চাশ ইউরো খরচ করতে হয়৷
বাংলাদেশি ছাত্র হাসান বাংলাদেশে অণুজীববিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন৷ বর্তমানে তিনি এলএমইউতে বায়োলজি নিয়ে মাস্টার্স করছেন৷ তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা তাঁর কাছে কেমন লাগছে৷ জবাবে তিনি বলেন, ‘‘যদি কারো সত্যিকার অর্থে পড়াশোনা এবং গবেষণা করার আগ্রহ থাকে তাহলে আমি বলবো জার্মানি হচ্ছে তার জন্য খুব ভালো জায়গা৷ এখানে গবেষণা করার জন্য সব ধরণের সুযোগ সুবিধা রয়েছে৷ এছাড়া গবেষণা সহকারীরাও অত্যন্ত বন্ধুভাবাপন্ন৷'' জার্মান ভাষাতে অনেক লেকচার দেওয়া হয় যেটা একটু সমস্যা বলে জানান তিনি৷ তবে শিক্ষকরা সেসব লেকচার শেষে সেগুলোর ইংরেজি অনুবাদ ছাত্রদের জন্য ইন্টারনেটে তুলে দেন বলে জানান মোহাম্মদ মুনমুন হাসান মোল্লা৷