1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিকল্প শিক্ষাপদ্ধতি

ইয়ুরি রেশেটো / এআই২৩ আগস্ট ২০১৩

ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে রয়েছে একটি সবুজ স্কুল৷ উবুদ শহরের দক্ষিণে এই বাঁশঝাড়ের স্বর্গের অবস্থান৷ এখানে কোনো পাকা স্কুল ভবন নেই৷ বরং আট হেক্টর এলাকা জুড়ে তৈরি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে ক্লাসঘর৷

https://p.dw.com/p/19VAa
ছবি: Juri Rescheto

সবুজ স্কুলে কিছু বিষয় ক্লাসরুমের বাইরেই শেখানো হয়৷ যেমন ‘সবুজ গবেষণা'৷ এই বিষয়ে শিক্ষক নিয়ন ফেসনক্স বলেন, ‘‘আমি আজ সকালে একজন খদ্দেরের ভূমিকায় রয়েছি, যার পুকুরটি পরিষ্কার করতে হবে৷ আমি শিক্ষার্থীদের কিছু নির্দেশ দিয়েছি৷ আমরা গত দুই সপ্তাহ ধরে একটি পুকুর নিয়ে গবেষণা করছি৷ এবং আমরা জানতে পেরেছি, বের হওয়ার কোন পথ না পেলে এখানে ব্যাঙগুলি মারা যাবে৷''

Bali Grüne Schule
প্রথাগত শিক্ষার বাইরে হাতেনাতে শিক্ষাছবি: picture-alliance/dpa

পরিবেশগত বিভিন্ন বিষয় ছাড়াও সবুজ স্কুলে গণিত, ব্যাকরণ, দর্শন কিংবা পদার্থবিদ্যার মতো সাধারণ বিষয়ও পড়ানো হয়৷ প্রায় চল্লিশটি দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ে৷ পাঠ্যক্রমও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত৷ আর পড়ানোর ধরনও বেশ ভিন্ন৷ যেমন কখনো ইসরায়েলি লোকনৃত্য দিয়ে শুরু হয় গণিত ক্লাস৷ গণিত শিক্ষক শন ম্যাকগুর্গান এই বিষয়ে বলেন, ‘‘এই লোকনৃত্যের মাধ্যমে আমি অনেক রকম শারীরিক কসরত শেখাতে পারি৷ সামনে আগানো, পেছনে যাওয়া, ভারসাম্য রক্ষা, ডানে ঘোরা, বামে ফেরা – মানবদেহের চমৎকার সব ক্ষমতা রয়েছে৷ আর এটাই হচ্ছে টেকসই শিক্ষা৷ এই শিক্ষা জীবনের জন্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়৷''

শিক্ষার্থীদের খাবারের আয়োজনও করা হয় স্কুলে৷ দুপুরের খাবারে তারা সাধারণত বালির কিছু জনপ্রিয় খাবার, ইটালীয় পাস্তা এবং বাগানের টাটকা টমেটো খায়৷ বেতের তৈরি পাত্রের ভেতর কলাপাতা বিছিয়ে তাদের খাবার দেওয়া হয়৷ এগুলো ধোয়ার প্রয়োজন হয়না৷ ফলে পানি সাশ্রয় হয়৷

সবুজ স্কুলে বার্ষিক টিউশন ফি দশ হাজার ইউরো৷ বালিবাসীদের পক্ষে এই খরচ বহন করা সম্ভব নয়৷ ফলে স্কুলটি মূলত বিত্তশালী বিদেশিদের শিশুদের উপর নির্ভরশীল৷ তারা হয়তো এক সময়ে দেশে ফিরে বাকিদের পরিবেশ সচেতনতায় উৎসাহ দিতে পারবে৷