পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে কিছু ভুল ধারণা
পরিবেশ নিয়ে জার্মানরা বরাবরই সচেতন৷ তা জৈব খাবার হোক, জ্বালানি সাশ্রয় কিংবা আবর্জনা আলাদা বা পুনর্ব্যবহার করা – এ সব নিয়ে জার্মানদের ভাবনার শেষ নেই৷ তবে এরপরও অনেকেরই রয়েছে নানা ভুল ধারণা৷ তারই কিছু নমুনা থাকছে ছবিঘরে৷
দেশীয় ফল ও সবজি
দেশীয় ফল ও সবজি খাওয়ার কথা আজকাল প্রায়ই শোনা যায়৷ কিন্তু নিজের দেশের শাক-সবজি ও ফল তখনই ভালো, যদি সেসব ফ্রিজে রাখা না হয়৷ অর্থাৎ মৌসুমি ফল আর সবজি৷ ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণে যে পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হয়, বিদেশ থেকে জাহাজে পণ্য পরিবহণ করতে তার চেয়ে অনেক কম নিঃসরণ হয়৷
পানির অপচয় নয়
দাঁত ব্রাশের সময় ট্যাপের পানি ছেড়ে রাখা মানেই পানির অপচয়! তাই পানির খরচ কমাতে প্রায় সকলেই এ ব্যাপারে সচেতন জার্মানিতে৷ কিন্তু পানির বড় বড় পাইপগুলোতে জলবণ্টন বা পানির ফোর্স বাড়ানোর যে বাড়তি জল দেওয়া হয়, তা নিয়ে কেউ ভাবেন না৷ এতে যে জল অপচয় হয়, তা নিয়ে প্রশ্নও করেন না কেউ!
বিদ্যুৎ সাশ্রয়
জার্মানিতে অনেকেই এক ঘর থেকে আরেক ঘরে যাওয়ার সময় লাইট অফ করে যান৷ ধারণা, এতে করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে৷ কিন্তু সেটা মোটেই ঠিক নয়৷ বরং কিছুক্ষণ পর আবারো নতুন করে লাইট ‘অন’ হতে যে জ্বালানি খরচ হয়, তা কিছুক্ষণ ‘অফ’ থাকার চেয়ে অনেক বেশি৷
ওয়াশিং মেশিনের শর্ট প্রোগ্রাম বিদ্যুৎ বাঁচায়?
মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় ‘শর্ট প্রোগাম’ বা দ্রুত কাচার ‘অপশন’-টি বেছে নিলে কম জ্বালানি খরচ হয় বলেই বিশ্বাস করেন কেউ কেউ৷ এটাও কিন্তু সঠিক নয়৷ কারণ অনেকক্ষণ ধরে মেশিন চললে এবং ধীরে ধীরে চললে জ্বালানি খরচ তো কম হয়ই, কাপড়ও ভালো পরিষ্কার হয়৷ হালের মেশিনগুলোতে অবশ্য পরিবেশবান্ধব ‘ইকো প্রোগ্রাম’ রয়েছে, যা জ্বালানি সাশ্রয় করে৷
হাত দিয়ে বাসন ধোয়া কি পরিবেশবান্ধব?
মোটেই না৷ কারণ ট্যাপের গরম পানি ছেড়ে রেখে একটি করে বাসন ধুলে, বিদ্যুৎ এবং পানি দু’টোরই বেশি খরচ হয়৷ অন্যদিকে মেশিনে ধোয়ার সময় বিদ্যুৎ ও পানি – দু’টোই কম খরচ হয়৷ তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি ডিশওয়াশারটি বাসন দিয়ে পুরো ভরে নিয়ে তারপর চালানো হয়৷ এতে কম খরচে একসঙ্গে অনেক বাসন ধোয়া হয়ে যায়!