1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হ্যাট্রিকের আশায় থাকি: শহীদুল

৭ মে ২০১৩

ডয়চে ভেলের সেরা অনলাইন অ্যাক্টিভিজম অ্যাওয়ার্ড ‘দ্য বব্স’-এর বাংলা ভাষার বিচারক ড. শহীদুল আলম৷ অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো এখানেও তাঁর সাফল্য কম নয়৷ তাই হ্যাট্রিকের অপেক্ষা করতেই পারেন শহীদুল৷

https://p.dw.com/p/18TM0
ছবি: DW

ডয়চে ভেলের সেরা ব্লগ অনুসন্ধান বা সেরা অনলাইন অ্যাক্টিভিজম অ্যাওয়ার্ডের সংক্ষিপ্ত নাম ‘দ্য বব্স’৷ এই প্রতিযোগিতায় বর্তমানে অংশ নেন বিশ্বের ১৪টি ভাষার ব্লগার, অ্যাক্টিভিস্টরা৷ পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগেরও অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে৷ প্রতিযোগিতাটি পুরোপুরি আন্তর্জাতিক৷ আর এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলা ভাষার অর্জন বেশ ঈর্ষনীয়৷

২০০৯ সালে দ্য বব্স-এ অংশ নেওয়ার পর ২০১২ সালে বিভিন্ন ভাষার প্রতিযোগীর সঙ্গে লড়াই করে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স অ্যাওয়ার্ড জয় করেন আবু সুফিয়ান৷ বার্লিনে বিভিন্ন ভাষার জুরি সদস্যদের বৈঠকে ভোটের মাধ্যমে এই সম্মাননা অর্জন করেন তিনি৷ প্রতিযোগিতায় ছয়টি আন্তর্জাতিক মিশ্র বিভাগের একটিতে বাংলা ভাষার জুরি অ্যাওয়ার্ড ‍অর্জন সেটাই প্রথম৷

এখানে বলে রাখা ভালো, এই প্রতিযোগিতায় বাংলা ভাষার পাশাপাশি রয়েছে ফার্সি, আরবি, চীনা, রাশিয়ান, জার্মান, ইংরেজির মতো ভাষা৷ এসব ভাষায় বিভিন্ন ধরনের, গঠনের ব্লগ রয়েছে৷ বিষয়বস্তুও বিস্মৃত৷ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এসব ভাষার গুরুত্বও আলাদা৷ তা সত্ত্বেও দ্বিতীয় সাফল্য অর্জনে খুব একটা সময় নেয়নি বাংলা ভাষা৷ বরং ২০১৩ সালের প্রতিযোগিতায় ‘গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম’ বিভাগে জুরি অ্যাওয়ার্ড জয় করেছে বাংলাদেশের তথ্যকল্যাণী প্রকল্প৷ জার্মানির রাজধানী বার্লিনে গত ৪ঠা মে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিচারকদের ভোটে জয়ী হয় এই প্রকল্প৷

বার্লিনের বৈঠকে বাংলা ভাষার বিচারক হিসেবে হাজির ছিলেন প্রখ্যাত আলোকচিত্রী, ব্লগার ড. শহীদুল আলম৷ তথ্যকল্যাণীসহ বাংলা ভাষার অন্যান্য প্রকল্প এবং ব্লগ সম্পর্কে বৈঠকে সবাইকে জানিয়েছেন তিনি৷ তথ্যকল্যাণী প্রকল্পের সাফল্যের পর ডয়চে ভেলেকে শহীদুল বলেন, ‘‘বাংলাদেশের একটি প্রকল্প পুরস্কার পেয়েছে, তাতে তো মজা পাবোই৷ তথ্যকল্যাণীরা তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন সুবিধা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন৷’’

Asif Mohiuddin Blogger in Bangladesch
জুরিদের মধ্যে আসিফের ব্লগ নিয়েও বেশ আলোচনা হয়েছেছবি: Asif Mohiuddin
Infolady Projekt gewinnt Global Media Forum Auszeichnung
২০১৩ সালের জুরি অ্যাওয়ার্ড জয় করেছে বাংলাদেশের তথ্যকল্যাণী প্রকল্পছবি: D.net/Amirul Rajiv

তবে শুধু তথ্যকল্যাণী নয়, বাংলা ভাষার একজন ব্লগারও আলোড়ন তুলেছিলেন জুরিমণ্ডলীর বৈঠকে৷ গত জানুয়ারি মাসে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার এবং বর্তমানে কারাবন্দি ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীনের অবস্থা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে বৈঠকে৷ দ্য বব্স প্রতিযোগিতার ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’ বিভাগে এ বছর বাংলা ভাষার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আসিফ৷ জুরি বৈঠকের প্রাথমিক পর্বে সবচেয়ে বেশি ভোট নিয়ে এগিয়ে গেলেও চূড়ান্ত ভোটাভুটিতে হেরে যান তিনি৷ এই প্রসঙ্গে শহীদুল বলেন, ‘‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে, সেটা ভাবলে আসিফেরই পুরস্কার পাবার কথা৷ তবে এটা ঠিক, গতবছরও আমরা এই বিভাগে পুরস্কার পেয়েছিলাম এবং সামগ্রিকভাবে পরপর দু’বছর একই দেশকে পুরস্কার দেওয়ার ব্যাপারে একটি ইতস্ততা হয়ত ওদের ছিল৷ এছাড়া, এটা না পাওয়ার কোনো কারণ ছিল না৷’’

বাংলা ভাষার বিচারক শহীদুল আলম

প্রসঙ্গত, ডয়চে ভেলের প্রতিযোগিতায় এ বছর মনোনয়ন জমা পড়ে চার হাজারের বেশি৷ এ সব মনোনয়নের দিকে নজর দিলে বিভিন্ন দেশের ব্লগের মধ্যে মৌলিক পার্থক্যগুলো বেশ চোখে পড়ে৷ ব্লগের বিষয় বৈচিত্র এবং উপস্থাপনের দিকটি বিবেচনা করলে অন্যান্য ভাষার তুলনায় বাংলা ভাষা এখনো বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে৷ ডয়চে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই বিষয়টির দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শহীদুল৷ তিনি বলেন, ‘‘বিষয়ের দিক থেকে না হলেও প্রযুক্তিগত দিক থেকে আমরা পিছিয়ে আছি৷ আমার মনে হয় ব্লগের ডিজাইনের ক্ষেত্রে, ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে, ভিডিও ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা কিছুটা পিছিয়ে আছি৷ তবে আমি আশা করি, সামনে ব্লগাররা সেগুলোকে গুরুত্ব দেবেন৷’’

উল্লেখ্য, শহীদুলের নেতৃত্বে দ্য বব্স প্রতিযোগিতায় পরপর দু’বার আন্তর্জাতিক বিভাগে জুরি অ্যাওয়ার্ড জয় করেছে বাংলা ভাষা৷ দ্য বব্স-এর ইতিহাসে খুব কম ভাষাই এমন সাফল্য অর্জন করতে পরেছে৷ আগামী বছর আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতার দশ বছর পূর্ণ হবে৷ শহীদুলের আশা, আগামীতেও জুরি অ্যাওয়ার্ড অর্জনে সক্ষম হবে বাংলা ভাষা৷ তিনি বলেন, ‘‘পরপর দু’বার বাংলাদেশ জয়ী হলো, (এবার) হ্যাট্রিকের আশায় থাকি৷’’

সাক্ষাৎকার: আরাফাতুল ইসলাম, বার্লিন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য