পদ্মা সেতু
২২ জুলাই ২০১২পদ্মাসেতু প্রকল্পে শেষ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক থাকবে- এমন আশাবাদ আবারও ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবদুল মাল আবদুল মুহিত৷ তিনি বলেন, যদি তারা না থাকে তাহলে প্রকল্প ব্যয়ের বৈদেশিক মুদ্রা যোগাড়ে বিকল্প কোনো অর্থায়নের উৎস খুঁজে বের করবে সরকার৷ এছাড়া মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে পিপিপি'র আওতায় পদ্মাসেতু নির্মাণের বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে৷ তবে পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে মালয়েশিয়ার দেয়া প্রস্তাব স্বচ্ছ নয় বলে জানান তিনি৷
দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণে সরকার চারটি বিকল্প নিয়ে এগোচ্ছে বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী মুহিত৷ রবিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম পথটি হচ্ছে বিশ্ব ব্যাংকের বাতিল ঋণচুক্তি পুনর্বহাল৷ দ্বিতীয়টি হলো অন্য তিনটি দাতা সংস্থা এবং নতুন কাউকে নিয়ে অগ্রসর হওয়া৷ তৃতীয় পথ আছে পিপিপির আওতায় প্রকল্প বাস্তবায়ন৷ আর সর্বশেষ বিকল্প প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ৷ মন্ত্রী বলেন, যদি প্রথম তিনটি সুযোগ কাজে না লাগে তাহলে নিজস্ব অর্থায়নেই কাজ শুরু হবে৷
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ
এদিকে পদ্মা সেতু নির্মাণে কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনের স্থানীয় তিন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক৷ প্রকল্প প্রাইভেট লিমিটেড, বেটস্ কনসালটিং লিমিটেড ও বিসিএল অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে রবিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ বেলা সাড়ে ১১টায় দুদক কার্যালয়ে দুদকের উপ-পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলি ও মির্জা জাহিদুল আলম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন৷
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রকল্প প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল হাসান খান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনের সাব এজেন্ট৷ লাভালিন কাজ পেলে আমরাও পেতাম৷ সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসাবাদের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুদক তো মূলত দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডাকে৷ আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি-না তা জানতে চেয়েছে৷ আর বিসিএল এসোসিয়েটস লিমিটেডের পরিচালক ড. এম এ আজিজ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এসএনসি লাভালিনকে সিভি পাঠিয়েছি৷ এর বাইরে আমরা তেমন কিছু জানি না৷ জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, দুদক আমাদের জিজ্ঞাসা করেছিল কনসালট্যান্ট নিয়োগে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে আমরা কিছু জানি কি-না! আমরা দুদককে জানিয়েছি এ বিষয়ে আমরা অবগত নই৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম