1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবারও মুখ খুললেন ও্যজিল

১৮ অক্টোবর ২০১৯

জার্মানির জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার মেসুত ও্যজিল বর্ণবাদের অভিযোগ এনে গতবছর পদত্যাগ করেন৷ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও কথা বলেছেন তুর্কি বংশোদ্ভূত এই ফুটবলার৷

https://p.dw.com/p/3RVxi
ছবি: Imago Images/Sven Simon/F. Waelischmiller

খেলাধুলা বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘দ্য অ্যাথলেটিক'কে দেয়া সাক্ষাৎকারে জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ জেতা ও্যজিল বলেন, জাতীয় দল থেকে তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল৷ ‘‘সিদ্ধান্ত নেয়ার পর অনেক সময় চলে গেছে৷ কিন্তু আজও আমি জানি যে, সিদ্ধান্তটা ঠিক ছিল,'' বলেন ৩১ বছর বয়সি ও্যজিল৷ তিনি বলেন, ‘‘ঐ সময়টা আমার জন্য খুব কঠিন ছিল৷ কারণ জার্মানির হয়ে আমি নয় বছর খেলেছি৷ তাদের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ও ছিলাম আমি৷’’

গতবছর মে মাসে লন্ডনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এর্দোয়ানের সঙ্গে ছবি তুলে জার্মানিতে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন ও্যজিল৷ তাঁর সঙ্গে জার্মান জাতীয় দলের আরেক খেলোয়াড় ইলকায় গুন্দোয়ানও ছিলেন৷

Erdogan mit Özil
লন্ডনে তোলা সেই ছবিছবি: picture-alliance/dpa/Presidential Press Service

ঐ ছবি প্রকাশের পর সামাজিক মাধ্যমে ও্যজিলকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল৷ এরপর জুন-জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে জার্মানির হয়ে খেলার সময় সমর্থকদের রোষের মুখে পড়েন বলে জানান তিনি৷

এরপর ২২ জুলাই জাতীয় দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন ও্যজিল৷ পদত্যাগপত্রে তিনি বর্ণবাদ ও বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছিলেন৷

দ্য অ্যাথলেটিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ও্যজিল ঐ সময় সম্পর্কে আবারও কথা বলেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি বর্ণবাদী আচরণ পাচ্ছিলাম - এমনকি রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকেও - সেই জাতীয় দলের কেউ এসে বলেননি যে, ‘এসব বন্ধ করুন৷ ও আমাদের খেলোয়াড়, আপনি তাঁকে এভাবে অপমান করতে পারেন না’৷ সবাই চুপ করে ছিলেন এবং এসব ঘটতে দিয়েছিলেন৷’’

বিশ্বকাপের সময় সমর্থকদের কাছ থেকে শোনা কয়েকটি মন্তব্যও উল্লেখ করেন ও্যজিল৷ যেমন ‘তোমার দেশে ফিরে যাও’, ‘এফ... ইওরসেল্ফ’ এবং ‘তুর্কি শুয়োর’ ইত্যাদি৷

ও্যজিল বলেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছিল, তাঁরা আশা করছিলেন, (এর্দোয়ানের সঙ্গে) বৈঠকের জন্য আমি ক্ষমা চাই, আমি যে ভুল করেছি সেটা স্বীকার করে নেই, এবং তারপর সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে৷ তা না হলে, আমি দলে স্বাগত হতাম না এবং আমাকে দল ছাড়তে হতো৷ আমি কখনও তা করবো না৷’’

জার্মানিতে বর্ণবাদ সবসময় ছিল মন্তব্য করে আর্সেনালের বর্তমান ফুটবলার ও্যজিল বলেন, তাঁর ঘটনায় বর্ণবাদের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এসেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘তাঁরা ব্যক্তিগত মত দিতে পারেন, আমার ছবি তাঁদের অপছন্দ হতে পারে, তেমনি আমিও ছবি তোলার বিষয়ে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারি৷ কিন্তু তারপর যা হয়েছে, তাতে সবার কাছে তাদেঁর বর্ণবাদী চরিত্র বের হয়ে গেছে৷’’

ও্যজিল মনে করছেন, তাঁর সঙ্গে হওয়া ঘটনাটি জার্মানিতে রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের একটি নির্দেশক৷ 

সম্প্রতি জার্মানির হালে শহরে ইহুদিদের একটি উপাসনালয়ের কাছে এক নব্য-নাৎসির এলোপাতাড়ি গুলিতে দুজন নিহত হন৷ এই ঘটনার উল্লেখ করে ও্যজিল বলেন, ‘‘জার্মানির অনেকগুলো বড় সমস্যা আছে - গত সপ্তাহে হালেতে যে ঘটনাটি হলো সেটির দিকে তাকান, সেটা একটি ইহুদিবিদ্বেষী হামলা ছিল৷ দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বর্ণবাদ শুধুমাত্র আর ডানপন্থি ইস্যু নয়৷ এটি সমাজের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে৷’’

জেমস থরোগুড/জেডএইচ