1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পদত্যাগ করলেন আইএমএফ প্রধান কান

১৯ মে ২০১১

বহু জল্পনা-কল্পনার পর, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ’এর প্রধান দোমিনিক স্ট্রাউস কান বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন৷ প্রতিষ্ঠানটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানাচ্ছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স৷

https://p.dw.com/p/11JR6
স্ট্রাউস কানকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেয় ওয়াশিংটনওছবি: picture alliance/dpa

যৌন নিপীড়নের অভিযোগ বর্তমানে নিউ ইয়র্কের রিকার্স আইল্যান্ড কারাগারে আটক রয়েছেন কান৷ শহরের ‘সোফিটেল' হোটেলে এক কর্মীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও তাঁকে জোর করে আটকে রাখার চেষ্টার অভিযোগে সম্প্রতি কানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷

খুব স্বাভাবিকভাবেই, এহেন এক অভিযোগে আটক হওয়ার পর আইএমএফ প্রধানের পদ নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়৷ স্ট্রাউস কানকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেয় ওয়াশিংটনও৷ এছাড়া, সংস্থাটির প্রধানের পদে নিজেদের অঞ্চল থেকে মনোনয়নের জন্য জোর দাবি তোলে ইউরোপ এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলো৷ গতকাল মার্কিন অর্থমন্ত্রী টিমোথি গেইটনার তো বলেই দেন যে, যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার হবার পর স্ট্রাউস-কান আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের প্রধান হিসেবে তাঁর পদ ধরে রাখতে পারেন না৷ তিনি বলেন, আইএমএফ'এর নির্বাহী বোর্ডের উচিৎ অন্তর্বর্তী প্রধান হিসেবে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া ৷

NO FLASH Dominique Strauss Kahn zurückgetreten
স্ট্রাউস-কান তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেনছবি: AP

এদিকে, নিউ ইয়র্কের সেই হোটেলের যে কক্ষে স্ট্রাউস কান ছিলেন, সেখান থেকে মানুষের শারীরিক নির্যাস জব্দ করেছে পুলিশ৷ তাতে কানের ডিএনএ'র মিল পাওয়া গেলে, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের ক্ষেত্রে আরো এক ধাপ অগ্রগতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ঐ হোটেলের ৩২ বছর বয়সি এক নারী কর্মীর অভিযোগ যে, সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিলেন কান৷

স্ট্রাউস-কান অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী৷ উল্লেখ্য, গত সোমবার কান'এর জামিন আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত৷ কারণ, জামিনে মুক্ত হলে কান নাকি প্যারিসে পালিয়ে যেতে পারেন৷ ওদিকে, তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করতে যাতে না পারেন - এই আশঙ্কায়, কান'এর ওপর নজর রাখা হচ্ছে৷ শুক্রবার আবারও তাঁকে আদালতে হাজির করার কথা৷ স্ট্রাউস কান'এর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তাঁর ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা