‘নোরাডের সঙ্গে আর্থিক বিষয়টি ১২ বছর আগেই নিষ্পত্তি হয়েছে’
১২ ডিসেম্বর ২০১০আর তিনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে গ্রামীণ কল্যাণ'এ অর্থ সরিয়েছিলেন খরচ বাঁচাতে, ব্যক্তি স্বার্থে নয়৷
গত ৩০ নভেম্বর ক্ষুদ্র ঋণের ফাঁদ নামে একটি তথ্য চিত্র দেখান হয় নরওয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে৷ তাতে বলা হয়, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে ১০ কোটি মার্কিন ডলার গ্রামীণ ব্যাংক থেকে গ্রামীণ কল্যাণ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে সরিয়েছেন৷
ড. ইউনূস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তারা আপত্তি করায় ১২ বছর আগেই তাদের অর্থ ফেরত দেয়া হয়েছে৷ এ নিয়ে আর কোন বিতর্ক নেই৷ আর ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার জন্য নয়, দরিদ্র মানুষের খরচ কমাতেই তিনি এ কাজ করেছেন৷
তিনি বলেন নরওয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে তাঁকে অর্থ আত্মসাতকারী বলা না হলেও বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম তা করেছে৷ যা তাঁকে কষ্ট দিয়েছে৷
ড. ইউনূস সংবাদ মাধ্যমের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, সবাই মিলে এখন এগিয়ে যেতে হবে৷ তিনি সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে পত্রিকা ও টেলিভিশন চালুর কথাও বলেন৷
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনার সরাসরি কোন জবাব দেননি তিনি৷ আর রাজনীতিতে প্রবেশের আর কোন চিন্তাও করছেন না বলে জানান৷
ড. ইউনূস বলেন, পল্লী ফোন এখন আর কার্যকর নেই৷ গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার সবচেয়ে কম, শতকরা ২০ ভাগ৷ তবে এই ক্ষুদ্র ঋণ যে দারিদ্র্য বিমোচনে শতভাগ কার্যকর হয়েছে তা তিনি নিজেও মনে করেন না৷ তবে তিনি মনে করেন ক্ষুদ্র ঋণের প্রয়োজনীয়তা কখনোই শেষ হবেনা৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: জাহিদুল হক