ইউনূসের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ড. মুহাম্মদ ই্উনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে ‘সরকারি কর্মকর্তা' হিসেবে ২০০৪ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বিদেশ থেকে সম্মানী, পুরস্কার এবং বইয়ের রয়্যালটি বাবদ ৫০ কোটি ৬১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আয় করেছেন৷ তিনি এই আয়ের জন্য সরকারের অনুমতি নেননি৷ এর বিপরীতে তিনি ১২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকা কর দেননি৷ এনবিআর-এর এই প্রতিবেদন সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপন করা হয়৷
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া জানান, বৈঠকে এই অনিয়মের ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ তিনি আরও জানান, আয়কর সংক্রান্ত ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেবে এনবিআর এবং অনুমোদনহীন আয়ের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক৷ প্রয়োজনে এই ২টি প্রতিষ্ঠান আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেবে৷
এনবিআর-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেননি৷ তিনি যে আয়কর রেয়াত নিয়েছেন, তা বিধিসম্মত হয়নি৷ আর আয়কর দাখিলের ক্ষেত্রে তিনি সঠিক তথ্য উপস্থাপন করেননি৷
এদিকে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ সদস্য তাহসিনা খাতুন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন৷ তাঁকে হয়রানির জন্য এটি একটি নতুন কৌশল৷ তিনি জানান, ড. ইউনূসের বিদেশ যাত্রা, বিদেশ থেকে সম্মানী নেয়, পুরস্কার নেয়া সবই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে হয়েছে৷ তিনি অনুমোদন না নিয়ে এসব করেননি৷ আর বিদেশ থেকে আসা আয় আয়করমুক্ত বলে তারা জানেন৷ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কয়েকদিনের মধ্যেই এ নিয়ে বৈঠকে বসবে বলে জানান তিনি৷ আর সেই বৈঠকেই ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন' অভিযোগ নিয়ে কী করণীয় তা ঠিক করা হবে৷
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে ১৩ই জুলাই সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকদের বিদেশ থেকে আনা বৈধ আয়কে আয়করমুক্ত ঘোষণা করা হয়৷ ২০০৬ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নোবেল পুরস্কারের অর্থকেও কর অব্যাহতি দেয়া হয়৷