নেইমারের সামনে আবার ইতিহাসের অংশ হওয়ার সুযোগ
বার্সেলোনায় ফিরবেন নেইমার? ফিরলে ছোট একটা ইতিহাসের অংশ হতে পারেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার৷ তবে বার্সেলোনায় না ফিরলে তারকা হয়েও মিশে যেতে পারেন লাখো খেলোয়াড়ের ভিড়ে৷ কিভাবে? দেখুন ছবিঘরে....
কেউ ফেরে না, কেউ ফেরে
নজরুল লিখেছিলেন, ‘‘কেউ ভোলে না কেউ ভোলে অতীত দিনের স্মৃতি’৷ অনেক ক্লাবের সঙ্গে কোনো কোনো ফুটবলারের সম্পর্কও এমন হয়ে যায়৷ কেউ কাউকে ভুলতে পারে না৷ বার্সেলোনাও ভুলতে পারেনি নেইমারকে৷ পিএসজি থেকে তাই ফিরিয়ে নিতে চাইছে তাকে৷ ফুটবল ইতিহাসে এটা অবশ্য নতুন নয়৷ সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকজন তারকা খেলোয়াড় ফিরেছেন তাদের পুরোনো দলে৷
মারিও গ্যোৎসে
জার্মান এই ফুটবলারের কথা উঠলেই মনে পড়ে ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনার বুক ভেঙে দেয়া সেই গোলটির কথা৷ দেশকে বিশ্বকাপ জেতানো এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের ক্লাব ফুটবলে সবচেয়ে বড় সময় কাটছে বোরুসিয়া ডর্টমুন্ডে৷ বুন্ডেস লিগার এই ক্লাবে গ্যোৎসে প্রথম দফা খেলেছেন ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত৷ তারপর ২০১৬ পর্যন্ত ছিলেন বায়ার্ন মিউনিখে৷ তারপরই ‘ঘরের ছেলে’কে ফিরিয়ে আনে ডর্টমুন্ড৷
সোল ক্যাম্পবেল
ইংল্যান্ডের এই সাবেক সেন্টার ব্যাক ছেড়ে গিয়েও আবার ফিরেছিলেন আর্সেনালে৷ প্রথম দফায় ছিলেন পাঁচ মৌসুম (২০০১ থেকে ২০০৬), তবে চার বছর পর ফিরে অবশ্য মাত্র ১১টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন৷
পিটার ক্রাউচ
ছয় ফুট সাত ইঞ্চি উচ্চতার এই সাবেক ইংলিশ ফরোয়ার্ডকে ইতিহাসের অন্যতম দীর্ঘকায় ফুটবলার হিসেবে মনে রাখতে হবে৷ উচ্চতার সুবিধা নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে হেড করে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড গড়েছেন তিনি৷ ক্রাউচ টটেনহাম হটস্পার (১৯৯৮ থেকে ২০০০, ২০০৯ থেকে ২০১১ ) আর পোর্টসমাউথে (২০০১ থেকে ২০০২, ২০০৮ থেকে ২০০৯ ) খেলেছেন দু দফা৷ওপরের ছবিতে গলফ খেলছেন ক্রাউচ৷
ফার্নান্দো তোরেস
স্পেনের এই স্ট্রাইকার দু দফা খেলার সুযোগ পেয়েছেন আটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে৷ ২০০১ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত খেলে চলে গিয়েছিলেন লিভারপুলে, সেখান থেকে চেলসি আর এসি মিলান হয়ে ২০১৫ সালে ফিরে আসেন৷ ২০১৮ থেকে খেলছেন জাপানের সাগান টোসু ক্লাবে৷
দিদিয়ের দ্রগবা
আইভরি কোস্ট-এর সাবেক স্ট্রাইকার দুবার জিতেছেন আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার৷ ক্লাব ফুটবলে অনেক সাফল্য তার৷ সবই চেলসির হয়ে৷ ইংলিশ ক্লাবটিকে প্রিমিয়ার লিগ তো বটেই, চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জিতিয়েছেন৷ এই চেলসিতেই খেলেছেন দুবার৷ প্রথম দফায় আট বছর (২০০৪ থেকে ২০১২ ), তারপর প্রায় দুই মৌসুম (২০১৪ থেকে ২০১৫)৷
থিয়েরি অঁরি
ফ্রান্সকে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জেতানো অঁরি দুবার খেলেছেন আর্সেনালে৷ ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত প্রথম দফা, ২০১২-তে পরের দফায় ফিরলেও ফেরাটা অবশ্য স্থায়ীত্ব বা সাফল্যে স্মরণীয় হয়নি৷
আরো যারা
কোনো ক্লাবে রবি ফাওলার (লিভারপুলে), পল পগবা (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে), শিনিজি কাগাওয়া (বোরুসিয়া ডর্টমুন্ডে), ইয়ান রাশ (লিভারপুলে), কার্লোস তেভেজ (বোকা জুনিয়র্সে), কাকা (মিলান ও সাওপাওলোতে),রবি কিন (টটেনহাম হটস্পারে), গ্রায়েম লে সঁ (চেলসি), শন রাইট-ফিলিপস (ম্যানচেস্টার সিটিতে) এবং ম্যাটস হুমেলস-সহ (বায়ার্ন মিউনিখ ও বোরুসিয়া ডর্টমুন্ডে) আরো কয়েকজন দু দফা খেলেছেন একই ক্লাবে৷
এবার নেইমার?
হ্যাঁ, এবার নেইমারও যোগ দিতে পারেন এই দলে৷ ২০১৭ সালের গ্রীষ্মের দলবদলে রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে পিএসজিতে গেলেও এখনই তাকে ফিরে পেতে আগ্রহী বার্সেলোনা৷ রেয়াল মাদ্রিদ আর ইউভেন্টুসও আগ্রহী৷ খুব শিগগিরই জানা যাবে নেইমার কোন ক্লাবে যাবেন, বা পিএসজিতেই থাকবেন কিনা৷ বার্সেলোনায় ফিরলে তারও এক ক্লাবে দু দফা খেলা হয়ে যাবে৷