1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আট দিনের রিমান্ডে নূর হোসেন

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৬ জুন ২০১৪

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেন এবং তার দুই সহযোগীকে ভারতের পুলিশ কলকাতা থেকে গ্রেফতারের পর আট দিনের রিমান্ডে নিয়েছে৷ এদিকে বাংলাদেশ সরকার তাকে ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানা গেছে৷

https://p.dw.com/p/1CJ03
শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশ ভেসে ওঠার পর আত্মীয়স্বজনদের আহাজারিছবি: DW

গত ২৭শে এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়৷ এর তিনদিন পর তাদের লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠে৷ এই ঘটনায় আরেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়৷ নিহত নজরুলের শ্বশুর শহিদুল ইলাম অভিযোগ করেন নারায়ণগঞ্জ ব়্যাব-১১-র কমান্ডার লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং লে. কমান্ডার এম এম রানা নজরুলের প্রতিপক্ষ নূর হোসেনের কাছ থেকে ৬ কোটি টাকা ঘুস নিয়ে ৭ জনকে হত্যা করেছে৷

এই ঘটনায় ৩ র‌্যাব কর্মকর্তাসহ এ পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হলেও ঘটনার পর পরই নূর হোসেন দেশের বাইরে পালিয়ে যান৷ এরই মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে র‌্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তা মেজর আরিফ হোসেন এবং লে. কমান্ডার এম এম রানা আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন৷

Opfer des Rapid Action Battalion (RAB) in Bangladesh
ছবি: DW

শনিবার গভীর রাতে কলকাতার দমদম বিমানবন্দর-সংলগ্ন বাগুইহাটি থানার পুলিশ নূর হোসেন এবং তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে৷

ঢাকায় পুলিশ সূত্র জানায়, নূর হোসেন ভারতে আত্মগোপন করে আছেন, এ খবর নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়৷ এরই ভিত্তিতে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি (এনআইএ) ও বাগুইআটি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার অভিযান চালায়৷

কলকাতার পুলিশ জানিয়েছে, সাত খুনের পর নূর হোসেন পালিয়ে কলকাতায় গিয়ে ৮ই জুন কৈখালি ইন্দ্রপ্রস্থ আবাসনের পাঁচতলা বাসায় ওঠেন৷ দুই সঙ্গী ওহিদুর জামান শামীম ও সৌমেন খান সুমনকে নিয়ে দুই মাসের জন্য ফ্ল্যাটটি তিনি ভাড়া করেন৷ ওহিদুরের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার বুড়িপাড়া ও সুমনের বাড়ি ফতুল্লা থানার রামবরাস গ্রামে৷

নূর হোসেন নিজেকে বাপী সাহা পরিচয় দিয়ে পাঁচতলার তিন বেডের ফ্ল্যাটটি ২০ হাজার ভারতীয় টাকায় ভাড়া নিয়েছিলেন৷

গ্রেপ্তারের পর তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি প্রবেশের দায়ে সেখানকার থানায় মামলা হয়েছে৷

মামলার এজাহারে বলা হয়, বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ করেন৷ তাঁদের কাছ থেকে পুলিশ পাঁচটি মোবাইল ফোন এবং ১১টি সিম উদ্ধার করে৷ এর মধ্যে একটি সিম বাংলাদেশের গ্রামীণফোনের৷ ভারতে অবস্থানের কোনো কাগজপত্র বা পাসপোর্ট তাঁদের কাছে ছিল না৷

তাদের রবিবার বারাসাত আদালতে হাজির করে পুলিশ ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন৷ ২৩শে জুন পরবর্তী শুনানি হবে৷ আদালতে নূর হোসেনের পক্ষে কেউ জামিনের আবেদন করেননি৷

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, রোববার সকালে তিনি টেলিফোনে কলকাতার অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াডের এসিপি অনিমেষ সরকারের সঙ্গে কথা বলে নূর হোসেনের গ্রেপ্তার সম্পর্কে নিশ্চিত হন৷ তিনি নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে জানান৷ আর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকায় নূর হোসেনকে ফিরিয়ে আনতে আইনগত কোন জটিলতা হবে না৷

এদিকে নূর হোসেন কলকাতায় গ্রেপ্তার হয়েছে এই খবরে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷ তারা রবিবার মিছিল করে নূর হোসেনকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিচারের দাবি জানান৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য