‘পরীক্ষা' দিয়ে এলেন মেসি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩শুক্রবার সকালে বরাবরের মতো প্র্যাকটিসের জন্য মাঠে না গিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি৷ বার্সেলোনার অদূরে গাভা অঞ্চলের আদালতে মেসি আর তাঁর বাবার ডাক পড়েছিল৷ আদালতের নির্দেশ মেনে গিয়েও ছিলেন তাঁরা৷ বাপ-ছেলে দু'জনের কাছেই বিচারক জানতে চেয়েছিলেন, ৪১ লাখ ৬০ হাজার ইউরো বা ৩৫ লাখ ইউরোর কর মেসি কেন ফাঁকি দিয়েছিলেন৷ এত বিশাল অঙ্কের করের টাকা যে চারবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার দেননি – এ নিয়ে কোনো বিতর্কের অবকাশ ছিল না৷ অভিযোগ ওঠার পর গত আগস্ট মাসে আসলের সঙ্গে সুদ মিলিয়ে ৫০ লাখ ইউরো জমা দেন মেসি৷ নইলে অনেকের আদর্শ হয়েও ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় অসৎ পথ অবলম্বনের অপরাধে কারাভোগ মোটামুটি নিশ্চিত ছিল তাঁর৷
শুরু থেকেই মেসি অবশ্য ব্যাপারটাকে খুব একটা আমলে নেননি৷ তাঁর আসল কাজ তো ফুটবলটা যত ভালোভাবে সম্ভব খেলে যাওয়া, তারপর বাকি সব৷ এ মৌসুমে সেই কাজটা করছেন আগের মতোই বিস্ময়কর দক্ষতায়৷ মৌসুমে এ পর্যন্ত সাতটি ম্যাচে করেছেন দশ গোল, সেই সুবাদে বার্সেলোনা এখনো অপরাজিত৷
তা মামলায় কি হেরে যাবেন মেসি? করের টাকা সুদসমেত পরিশোধ করার পরও কি জেলে যেতে হবে তাঁকে? সে সম্ভাবনা ক্ষীণ৷ বার্সেলোনার তারকা ফুটবলার মোটামুটি নিশ্চিন্ত৷ শুক্রবার সকাল দশটায় তাঁর বাবাকে জেরা করেছেন বিচারক, তারপর প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা হয়েছে তাঁকেও৷ আদালতে হাজিরা দেয়ার আগে মেসি বলেন, ‘‘আমি একটুও চিন্তিত নই৷ আমার বাবার মতো এসব বিষয় আমিও সবসময় ‘সাইডলাইন'-এ রাখি৷ এসব দেখার জন্য তো আইনজীবীরা আছেন, উপদেষ্টারা আছেন৷ তাঁদের ওপর আমাদের আস্থা আছে, তাঁরা নিশ্চয়ই ব্যাপারটি সামলাতে পারবেন৷''
শুক্রবার প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বিচারকের নানা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পর আদালত থেকে বেরিয়ে আসেন মেসি৷ বাইরে তখন অনেক সমর্থকের ভিড়৷ তাঁদের উদ্দেশ্যে কিছু না বলেই আদালত এলাকা ছেড়ে যান ২৬ বছর বয়সি ফুটবলার৷ বিচারকের কাছে অনিচ্ছাকৃত ভুলের কথা স্বীকার করেছেন মেসি – তাঁর উকিল শুধু এইটুকুই জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে৷ রায়ে শাস্তি কী হতে পারে তা অবশ্য এখনো জানা যায়নি৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি, এপি)