নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
২ সেপ্টেম্বর ২০১৮রোববার গণভবনে বিকেল চারটায় অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বিমসটেক নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী৷ এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তরপর্ব৷ সেখানে রোহিঙ্গা সংকটসহ দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির নানা বিষয় নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন৷
স্থানীয় সবগুলো গণমাধ্যম শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলন নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে৷ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘‘জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই৷ নির্বাচন হবে, নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারো নেই৷ ষড়যন্ত্র আছে, থাকবে৷’’
নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর ব্যবহার নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা হচ্ছে৷ এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সরকারপ্রধান বলেন, ‘‘তাড়াহুড়ো করে ইভিএম চাপিয়ে দেয়া যাবে না৷ এটি নিয়ে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হোক৷’’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইভিএম নিয়ে বিএনপি অনেক বেশি সোচ্চার, কারণ, বিএনপি কারচুপির মাধ্যমে জয়ী হতে পছন্দ করে৷
‘‘ব্যালট পেপারে নির্বাচন হলে একেকজন একাধিক ভোট দিতে পারে, তখন বিএনপির নেতা-কর্মীরা কারচুপির মাধ্যমে ব্যালট বাক্স ভরাতে পারে,’’ বলেন তিনি৷
সংলাপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আর তো ওদের সঙ্গে কথা বলব না৷ তারা আমার বাড়িতে এসে বসে থাকত, তারা আমার মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছে৷ আমার তো একটা আত্মসম্মানবোধ আছে৷ আমি বারবার অপমানিত হতে কেন যাব?’’
সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী৷
৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক সমাবেশে গতকাল বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে বলেন, তাদের নেত্রীকে ছাড়া নির্বাচনে যাবেন না৷ এ প্রসঙ্গে হাসিনা বলেন, ‘‘খালেদা জিয়াকে তো আমি গ্রেপ্তার করিনি৷ তিনি যদি মুক্তি চান, কোর্টের মাধ্যমে আসতে হবে৷ দ্রুত চাইলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে৷ মামলা আমাদের সরকারের দেয়া নয়৷ ওনারই পছন্দের ইয়াজউদ্দিন, ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দিন সাহেবের আমলে দেয়া৷’’
গণমাধ্যমে বিএনপিকে প্রাধান্য দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘মিডিয়ায় তারা প্রাধান্য পায়৷ সংসদে বিরোধী দল থাকার পরও বিএনপিকে বিরোধী দল হিসেবে ধরে প্রাধান্য দেয়া হয়৷’’
এদিকে, মিথ্যা ছবি দিয়ে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে মিয়ানমারের বিভ্রান্তি ছড়ানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘মিয়ানমার যা করেছে, তা অত্যন্ত জঘন্য কাজ৷’’
মিয়ানমার আন্তর্জাতিকভাবে নিজেরাই নিজেদের অবস্থান খারাপ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ কখনো চায়নি প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে কোনো সংঘাতপূর্ণ অবস্থা তৈরি হোক৷ রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার ব্যাপারে আমরা সব সময় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি৷ মিয়ানমার কখনো আপত্তি করে না, বলে, নিয়ে যাবে৷ এটা ঠিক, বাস্তবতা হলো, তারা বলে, কিন্তু করে না৷’’
জেডএ/এসিবি