1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিযুক্তরাষ্ট্র

নিউ ইয়র্কের প্রচারে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আক্রমণ ট্রাম্পের

২৮ অক্টোবর ২০২৪

কোনো অভিবাসনপ্রত্যাশী যদি অ্যামেরিকার কোনো নাগরিককে হত্যা করে থাকেন, তাহলে তাকে ফাঁসি দিতে হবে, দাবি ট্রাম্পের।

https://p.dw.com/p/4mIP1
নিউ ইয়র্ক সিটিতে ভাষণ দিচ্ছেন ট্রাম্প।
অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে আবার সোচ্চার ট্রাম্প। ছবি: Andrew Kelly/REUTERS

নিউ ইয়র্কের প্রচারে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প। বলেছেন, ''কমলা, আপনি এই দেশ ধ্বংস করে দিয়েছেন। আপনাকে আমরা আর কোনোভাবেই ফেরাবো না। আপনার চাকরি চলে গেছে। আপনি এবার বেরিয়ে যান।'' ট্রাম্পের অভিযোগ, কমলা হ্যারিসের আইকিউ কম। প্রকাশ্যে এভাবেই হ্যারিসকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন ট্রাম্প।

রোববার রাতে নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ারে বক্তৃতা দেন ট্রাম্প। ট্রাম্প সেখানে বলেছেন, আগামী চার বছর কেমন কাটবে তা স্থির হবে এই নির্বাচনে। আরো চার বছর মানুষ কিছু অযোগ্য মানুষের হাতে দেশ ছাড়তে চান নাকি এক ঐতিহাসিক সময়ের শুরু দেখতে চান, তা তাদের স্থির করতে হবে। বস্তুত এদিনের প্রচারে ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় চমক ছিল তার স্ত্রী। এই প্রথম ট্রাম্পের প্রচারে স্ত্রী মেলানিয়াকে দেখা গেল।

হ্যারিসের প্রতিক্রিয়া, ট্রাম্প বিভাজনের চেষ্টা করছেন

ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি

এবারের নির্বাচনী প্রচারে দুইটি বিষয়ের উপর ট্রাম্প গোড়া থেকেই গুরুত্ব দিয়েছেন। অনুপ্রবেশ এবং অর্থনীতি। এদিন ১৫ মিনিটের বক্তৃতাতেও ট্রাম্প সেই কথাগুলিই বলেছেন। জানিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে গ্যাংওয়ার বন্ধ করবেন তিনি। অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করবেন। তার দাবি, বাইরের দেশ থেকে অপরাধীরা অ্যামেরিকায় প্রবেশ করছে। তারা অ্যামেরিকার শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করছে। এরপরেই তিনি বলেন, যদি কোনো অনুপ্রবেশকারী অ্যামেরিকায় এসে কোনো মার্কিন নাগরিককে হত্যার ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন, তাহলে তাকে ফাঁসি দেওয়া হবে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, সকলকে দেশের পতাকাকে শ্রদ্ধা করতে হবে। কেউ পতাকা জ্বালিয়ে দিলে তার এক বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

ট্রাম্পের সমর্থকেরা এদিন ভরিয়ে দিয়েছিলেন ম্যাডিন স্কোয়্যার গার্ডেন। ট্রাম্প আসার আগে তারাও কমলা হ্যারিসকে কার্যত ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন। হ্যারিস তুলনা করা হয় শয়তানের সঙ্গে।

নভেম্বরের গোড়াতেই অ্যামেরিকায় নির্বাচন। হ্যারিস জিতলে তিনি গড়বেন। অ্যামেরিকায় প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি। তবে এখনো পর্যন্ত ভোটের আগের সমীক্ষা বলছে, ট্রাম্প এবং হ্যারিসের লড়াই হচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি। শেষ এক সপ্তাহে জনমতের ভিত্তি বলছে, হ্যারিস সামান্য এগিয়ে আছেন।

এসজি/জিএইচ (এপি, রয়টার্স)