নাহিদ হত্যা মামলায় ঢাকা কলেজের পাঁচ ছাত্র গ্রেপ্তার
২৮ এপ্রিল ২০২২ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আকতার বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়৷ গ্রেপ্তারকৃত ছাত্ররা হলেন- কাইয়ুম, পলাশ মিয়া, মাহমুদ ইফরান, ফয়সল ইসলাম এবং জুনায়েদ৷ বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম তাদের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে৷
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার ফারুক হোসেন দুদিন আগে জানিয়েছিলেন, নাহিদ হত্যার ঘটনায় ঢাকা কলেজের ছয় ছাত্রকে তারা চিহ্নিত করেছেন৷ ঘটনার সময় তাদের কয়েকজনের হেলমেট পরা ছিল৷
এই মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), গত রোবাবার ঢাকা কলেজ ছাত্রাবাসে অভিযান চালায়৷ তখন এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷
প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভিডিও বিশ্লেষণ করে কয়েকজনের নাম আগেই সংবাদমাধ্যমের খবরে এসেছিল৷ তারা সবাই ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তবে ঢাকা কলেজে এখন ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই৷ কলেজের ছাত্রলীগ এখন কয়েকটি ভাগে বিভক্ত বলে জানা গেছে৷
গত ১৮ এপ্রিল ইফতারের টেবিল বসানো নিয়ে নিউ মার্কেটের দুই দোকানের কর্মীদের দ্বন্দ্বের পর এক পক্ষ ঢাকা কলেজ ছাত্রাবাস থেকে ছাত্রলীগের কয়েক কর্মীকে ডেকে আনে৷ তারা মারধরের শিকার হওয়ার পর ছাত্রাবাসে ফিরে আরও শিক্ষার্থীদের নিয়ে সোমবার মধ্যরাতে নিউ মার্কেটে হামলা চালাতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে৷ দিনভর সংঘর্ষের সময় ডেলিভারিম্যান নাহিদকে কুপিয়ে জখম করা হয়৷ ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মারা যান৷
সেদিন দুপুরের দিকে নুরজাহান মার্কেটের সামনে ইটের আঘাতে আহত হন মোরসালিন৷ দুদিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়৷
নাহিদ হত্যার পাশাপাশি মোরসালিন হত্যা মামলার তদন্তের ভারও গোয়েন্দা পুলিশের হাতে৷ তবে মোরসালিনের খুনিদের এখনও শনাক্ত করতে পারেননি পুলিশ৷
বিডিনিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘মোরসালিন হত্যা এখন পর্যন্ত ক্লুলেস।… প্রাথমিকভাবে তথ্য-প্রমাণে এটাই নিশ্চিত হয়েছি যে, মোরসালিন ইটের আঘাতে মারা গেছেন৷ সুনির্দিষ্টভাবে ওই ইটটি কোথা থেকে এসেছে তা নির্দিষ্ট করা যায়নি৷''
সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি হত্যা মামলাসহ সংঘর্ষ এবং বোমাবাজির ঘটনায় মোট পাঁচটি মামলা হয়েছে৷ সংঘর্ষের মামলায় নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন ছাড়া আর কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ৷
এএস/এফএস (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম)