1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাসিক নির্বাচনে প্রথম নারী মেয়র পেলো বাংলাদেশ

৩১ অক্টোবর ২০১১

বিপুল ভোটের ব্যবধানে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী৷ আইভী তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানের চেয়ে এক লাখ এক হাজার ৩৪৩ ভোট বেশি পেয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/1321L
ইলেকট্রনিক ভোট দিচ্ছেন এক ভোটারছবি: Samir Kumar Day

এক লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী৷ ঘোষিত ফল অনুযায়ী আইভী পেয়েছেন এক লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট৷ তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমান পান ৭৮ হাজার ৭০৫ ভোট৷ রোববার দিনব্যাপী ভোটগ্রহণের পর রাত সোয়া ১টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের জিয়া হলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রির্টানিং অফিসার বিশ্বাস লুৎফর রহমান এ ফল ঘোষণা করেন৷

এর আগে সকাল আটটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায়৷ ২৭ টি সাধারণ ওয়ার্ড ও নয়টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ১৬৩ কেন্দ্রে দুই লাখ ৮২ হাজার ৫৯৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন৷ এর মধ্যে ৯ ওয়ার্ডের ৫৮টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট গ্রহণ হয়৷

আইভী এ জয়কে জনগনের জয় উল্লেখ করে তা জনতাকেই উৎসর্গ করেছেন৷ আইভী বলেন, সবাইকে সঙ্গে তিনি কাজ করতে চান৷

Narayanganj City Corporation Wahlen Flash-Galerie
সাংবাদিক ও সমর্থকদের মাঝে সেলিনা হায়াৎ আইভীছবি: Samir Kumar Day

অন্যদিকে এ নির্বাচনকে সাজানো উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেছেন, আগে যদি বুঝতাম, তাহলে অংশ নিতাম না৷ প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তোলেন তিনি৷ আর বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, দল ও চেয়ারপারসনের প্রতি আনুগত্য দেখাতেই শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে নিজেকে কোরবানি দিয়েছি৷

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা দাবী করেছেন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে৷ ফলাফল ঘোষনার পর নারায়নগঞ্জের সাধারণ মানুষ নতুন মেয়রকে অভিনন্দন জানিয়ে তার কাছে প্রত্যাশার কথাও বললেন৷

এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সেলিনা হায়াৎ আইভী বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ায় তাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম৷ এক প্রতিক্রিয়ায় সৈয়দ আশরাফ বলেন, সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে তাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব রকম সহায়তা দেওয়া হবে৷ তিনি বলেন, এ নির্বাচন ঘিরে সরকারের তিনটা লক্ষ্য ছিল৷ প্রথমত, নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করা৷ দ্বিতীয়ত, সেনাবাহিনী মোতায়েন ছাড়াই যাতে জনগণ নির্ভয়ে ও অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করা এবং তৃতীয়ত ইভিএম ব্যবহার করে ভোট নেওয়া৷ তিনটা লক্ষ্যই সরকার সফলতার সঙ্গে অর্জন করেছে৷

প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য