নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার কতদূর
৯ নভেম্বর ২০২২বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দুটি প্রধান উৎস হচ্ছে কয়লা ও গ্যাস৷ আর মাত্র ৪০ ভাগের কম বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে কম কার্বন নির্গমন করা সূত্র সৌরশক্তি, বায়ু, নিউক্লিয়ার ও হাইড্রোপাওয়ার থেকে৷
গত দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার অনেক বেড়েছে৷ নিউক্লিয়ার শক্তির ব্যবহার কমেছে৷ তবে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার প্রায় একইরকম আছে৷
গত দুই দশকে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় দ্বিগুন হয়েছে৷ চীন ও ভারতে মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়ায় সেসব দেশের সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের চেষ্টা করেছে৷ কয়লা ব্যবহার করে এসব বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে৷
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কিছু দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল উৎস হিসেবে কয়লার পরিবর্তে গ্যাস ব্যবহৃত হয়েছে৷
বিশ্বে বর্তমানে প্রায় এক-চতুর্থাংশ বিদ্যুৎ সৌরশক্তি, বায়ু ও পানিশক্তির মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে উৎপাদন করা হচ্ছে৷
সোলার প্যানেল ও উইন্ড টারবাইন তৈরির খরচ কমে আসায় ভবিষ্যতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে গতি আসবে৷ বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ জায়গায় কয়লা প্ল্যান্ট চালু রাখার চেয়ে কম দামে নতুন সোলার ফার্ম নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে৷
তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে চাইলে ধনী দেশগুলোকে ২০৩৫ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষ হতে হবে৷ বাকি দেশগুলোকে ২০৪০ সালের মধ্যে সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে৷
অজিত নিরঞ্জন/জেডএইচ