ধর্মঘটে ঢাকা পড়ে মৃতদেহের সারি
২১ জুলাই ২০২৩তবে এই ঘটনায় আবার স্পষ্ট হলো, চিকিৎসদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া খুব কঠিন৷ বাংলাদেশে চিকিৎসায় অবহেলা বা ভুলের কারণে প্রতিকার পাওয়ার আলাদা কোনো আইন নেই৷ ক্ষতিপুরণ বা ফৌজদারী মামলা করলে তা থেকে প্রতিকার পাওয়া কঠিন৷ কারণ, চিকিৎসকরা এর বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে অবস্থান নেন৷ রোগীদের জিম্মি করে ধর্মঘটসহ নানা কর্মসূচি দেন৷ আর বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলেও (বিএমডিসি) অভিযোগ করে তেমন প্রতিকার পাওয়া যায় না৷
চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলা হলে তারা গ্রেপ্তার হলে চিকিৎসকরা মাঠে নেমে যান৷ তারা রোগীদের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দিয়ে, রোগীদের জিম্মি করে তারা যা চান তা আদায় করে নেন৷ এর ফলে পরিস্থিতি এখন চিকিৎসক আর রোগীরা যেন পরস্পরের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছেন৷ অথচ সম্পর্কটি সেবা দেয়া আর নেয়ার৷
যা ঘটেছে সেন্ট্রাল হাসপাতালে
সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তা সাহার (গাইনি) অধীনে গত ৯ জুন ভর্তি হন মাহাবুবা রহমান আঁখি৷ কিন্তু সেদিন ডা. সংযুক্তা হাসপাতালেই ছিলেন না৷ পরে তার দুই সহযোগী ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা ও ডা. মুনা সাহা আঁখির ডেলিভারি করানোর চেষ্টা করেন৷ পরে আঁখির সন্তানের জটিলতা দেখা দেয়ায় তাকে এনআইসিইউতে রাখা হয়৷ একই সঙ্গে আঁখির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়৷গত ১০ জুন বিকেলে আঁখির সন্তানের মৃত্যু হয়৷ এ ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী ধানমন্ডি থানায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করেন ৷ মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকেও আসামি করা হয়৷ ১৫ জুন রাতে ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ এরপর গত ১৮ জুন দুপুরে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহবুবা রহমান আঁখিও মারা যান৷ গ্রেপ্তারের পর গত ১৫ জুন ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা দায় স্বীকার করে আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন৷ গত ১৬ জুন আদালত সেন্ট্রাল হাসপাতালে সব ধরনের অপারেশন বন্ধের নির্দেশ দেন৷
গত তিন মাস ধরে সেন্ট্রাল হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন মাহবুবা রহমান আঁখি৷ এ সময় তার শারীরিক অবস্থা ‘স্বাভাবিক’ ছিল বলেও চিকিৎসক জানিয়েছিলেন৷ নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমেই সন্তান প্রসব সম্ভব বলে আশ্বস্তও করেছিলেন ডা. সংযুক্তা সাহা৷৯ জুন দিবাগত রাত একটার দিকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তার অধীনে মাহবুবাকে ভর্তি করা হলেও ওই সময় ডা. সংযুক্তা সাহা দেশেই ছিলেন না৷ অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর স্বজনদের জানায়, সংযুক্তা সাহা আছেন এবং ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) কাজ করছেন৷
এই পরিস্থিতিতে গত ১৭ জুলাই থেকে দুই দিন বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখা বন্ধ এবং চেম্বার ও হাসপাতালে রোগী দেখা ও অস্ত্রোপচার বন্ধের কর্মসূচি পালন শুরু করেন গাইনি চিকিৎসকরা৷ এর আগে ১৬ জুলাই তারা সারা দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন৷ তবে ১৮ জুলাই দুপুরের পর দুই চিকিৎসকের জামিন হওয়ায় তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন৷
আরো কিছু ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ মৃত্যু ও ধর্মঘট
রোগীদের ‘জিম্মি’ করে দাবি আদায়ের প্রবণতা নতুন নয়৷ ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে ২০ রোগীর চোখের ভুল চিকিৎসার কারণে আদালত ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপুরণের নির্দেশ দেন৷ তখন আদালত বলেন, ‘‘একজন পুলিশ, অপরজন আইনজীবী এবং ডাক্তার৷ তিনটি পেশার যদি কিছু কিছু দুর্বৃত্তের কারণে ধ্বংস হয়, তবে মানুষ বিপদে পড়বে৷ ডাক্তাররা দেবতা নন৷ আমাদের ভুল হবে বলে আমাদের একটা উচ্চ আদালত রয়েছে৷ ভুলটা অন্যায় নয়৷ কিন্তু ভুলটা জাস্টিফাই করার জন্য যদি ধর্মঘট ডাকা হয়, তবে তা অন্যায়৷’’
তখন আদালত ভুল চিকিৎসায় চট্টগ্রামে শিশু রাইফার মৃত্যুর ঘটনাও উল্লেখ করেন৷ ২০১৮ সালের আগস্টে ওই মৃত্যুর ঘটনায়ও চার চিকিৎসককে আটক করা হয়েছিল৷ কিন্তু চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতালের মালিক ও চিকিৎসকদের টানা ধর্মঘটের কারণে তাদের জামিন দেয়া হয়৷
এর আগে ২০১৬ সালেও চট্টগ্রামের চিকিৎসকরা টানা চারদিন ধর্মঘট করেন৷ ওই বছরের জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যুতে তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করায় চিকিৎসকরা ধর্মঘট করেন৷
আর এই ভুল চিকিৎসার অভিযোগে প্রায়ই রোগীদের স্বজন এবং চিকিৎসকদের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে৷ ২০১৭ সালের মার্চে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ করলে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইনটার্ন চিকৎসকরা রোগীর এক আত্মীয়কে মারপিট করেন৷ সেই ঘটনায় চারজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলে বগুড়ার চিকিৎসকরা ধর্মঘটে যান৷ পরে শাস্তি প্রত্যাহার করলে তারাও ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন৷ ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে তখনকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছিলেন, ‘‘রোগীকে সেবা দেয়ার দায়িত্বে রয়েছেন চিকিৎসকরা৷ রোগীর স্বজনরা যদি আহত হয়, লাঞ্ছিত হয় এবং রোগী অবহেলায় মুত্যুবরণ করে, এটা তো উপেক্ষা করা সম্ভব না৷ এর প্রতিবাদে যদি চিকিৎসকরা কর্মবিরতি করে, সেটাও তো দুঃখজনক৷ রোগীকে জিম্মি করে তো কোনো চিকিৎসক এভাবে ধর্মঘট করতে পারে না৷ এটা শুধু বেআইনি-ই নয়, অমানবিক৷’’
অভিযোগ আছে, প্রতিকার নেই
বাংলাদেশে চিকিৎসার অবহেলার ব্যাপারে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)-র অভিযোগ করা যায়৷ কিন্তু ওখানে অভিযোগ করলে শক্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এমন নজির নেই৷ যারা ওখানে অভিযোগের নিস্পত্তি করেন তারা সবাই চিকিৎসক৷ ফলে রোগীর স্বজনরা হাসপাতালেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান৷ বিএমডিসি আইনের ২০১০-এর ধারা-২৩ অনুসারে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত চিকিৎসকের নিবন্ধন বাতিল করার ক্ষমতা আছে৷ আরো কিছু আইনে চিকিৎসা ও ওষুধ সংক্রান্ত অপরাধের প্রতিকারের বিধান আছে, যেমন : ড্রাগস অ্যাক্ট, ফার্মেসি অর্ডিন্যান্স, ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক প্র্যাকটিশনার্স অর্ডিন্যান্স, মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন ১৯৯৯, নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন আইন ইত্যাদি৷
তবে ভুল চিকিৎসা বা চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং আইনগত প্রতিকারের জন্য দেশে একক কোনো আইন কার্যকর নেই৷ ২০১৬ সালে ‘রোগী এবং স্বাস্থ্যসেবা দানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সুরক্ষা আইন’ নামে একটি আইন প্রস্তাব করে সরকার৷ কিন্তু এ আইনটি এখনও কার্যকর হয়নি৷ আইনটির খসড়া প্রকাশের পরই সেটা নিয়ে সমালোচনা হয়৷ কারণ, প্রস্তাবিত আইনে রোগী নয়, বরং চিকিৎসকদের সুরক্ষার দিকে বেশি নজর দেওয়া হয়েছে৷ খসড়ায় বলা হয়েছে চিকিৎসকের ভুলের অভিযোগ উঠলে চিকিৎসক বা অন্য সেবাদানকারীদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা যাবে না৷ অন্যদিকে কোনো ব্যক্তি স্বাস্থ্য সেবাদানকারীদের প্রতি সহিংস আচরণ করলে এবং প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করলে তা জামিন অযোগ্য অপরাধ হবে বলে গণ্য হবে৷
বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নাই৷ এর মধ্যে অন্যতম হলো ভুল চিকিৎসা বা চিকিৎসায় অবহেলা৷ সম্প্রতি ঢাকার একটি ‘স্বনামধন্য’ হাসপাতালে এক রোগীকে তিন মাস ধরে যুক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে৷ কিন্তু পরে দেখা গেছে তার যক্ষ্মাই হয়নি৷ কিন্তু তার অবস্থা এখন গুরুতর৷ আবার অপারেশনের পর পেটে ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই করে দেয়ার অভিযোগ আছে৷ আছে ডান পায়ের অপারেশন বাম পায়ে করার অভিযোগ৷ সময় নিয়ে রোগী না দেখা, বেসরকারি হাসপাতালে অতিরিক্ত ফি নেয়া, রোগীর মুত্যুর পরও তার চিকিৎসা চলছে দেখিয়ে বিল আদায়ের মতো অভিযোগও আছে৷ আর কমিশনের লাভ পেকে অপ্রয়োজনীয় টেস্ট, পছন্দের ব্র্যান্ডের ওষুধ প্রেসক্রাইব করার অভিযোগ তো আছেই৷ আছে মেডিকেল টেস্টের মান নিয়ে অভিযোগ৷ তিন জায়গায় তিন রকম টেস্টের রেজাল্ট আসার ঘটনাও আছে৷
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে রোগীপ্রতি মাত্র ৪৮ সেকেন্ড সময় দেন চিকিৎসকরা৷ ৬৭টি দেশের ওপর পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, রোগীপ্রতি সময় দিতে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের অবস্থান সবার নীচে৷
কনজ্যুমারস অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহসভাতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘‘চিকিৎসকদের দাবি আদায়ে এই ধর্মঘট অমানবিক এবং অন্যায়৷ ধর্মঘটের কারণে চিকিৎসা না পেয়ে কোনো রোগী যদি মারা যান তার দায় কে নেবে? তাদের বুঝতে হবে এটা ট্রাক চালক বা সাধারণ কোনো ব্যবসা নয়৷’’
তার কথা, ‘‘মানুষ যখন প্রতিকার পায় না, তখন ক্ষুব্ধ হয়ে বেআইনি কাজ করে৷ চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলা করলে তারা রোগীদের জিম্মি করে, ধর্মঘট করে মামলা প্রত্যাহার করায়, কোনো চিকিৎসককে আটক করলে একইভাবে তাকে ছাড়িয়ে নেয়৷ তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিকার চাইতে মানুষ থানায়, আদালতে যেতে পারবেন না? আর বিএমডিসি একটা অকার্যকর প্রতিষ্ঠান৷ তারা কোনো ব্যবস্থা নেয় না৷ তাহলে মানুষ যাবে কোথায়?’’
সরকারের নতুন আইনের উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘রোগী ও চিকিৎসক উভয়ের সুরক্ষা প্রয়োজন৷ কিন্তু নতুন আইনটি চিকিৎসক সুরক্ষা আইন হচ্ছে৷ যদিও নাম দেয়া হয়েছে রোগী ও চিকিৎসক সুরক্ষা আইন৷’’
সমাধান কোথায়?
চিকিৎসকদের এমন ধর্মঘটকে বেআইনি ঘোষণার জন্য হাইকোকোর্টে একটি রিট শুনানির অপেক্ষায় আছে৷ ২০১৬ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ৷ তিনি বলেন, ‘‘আদালত রুলও দিয়েছেন৷ কর্তব্য পালনকালে চিকিৎসক ও নার্সদের ধর্মঘট কেন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হবে না-এই মর্মে রুল দেয়া হয়৷’’
তিনি বলেন, ‘‘রোগী মারা গেলেই যেমন সেটা চিকিৎসকের অবহেলা নয়, আবার চিকিৎসকের অবহেলায়ও রোগী মারা যান৷ ফলে চিকিৎসায় অবহেলা আবার চিকিৎসকের ওপর হামলা দুইটিরই প্রতিকার প্রয়োজন৷ ফৌজদারী আইনে তো মামলা করা যায়৷ কিন্তু রোগীদের জিম্মি করে এর বিরুদ্ধে ধর্মঘট করলে তো আর সেটা এগোয় না৷ বিএমডিসি যদি দায়িত্ব পালন করতো, তাহলেও হতো৷ তারা যদি লাইসেন্স বাতিল করতো, তাহলে এ ধরনের ঘটনা কমে আসতো৷’’
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)-র স্ট্যান্ডিং রিকগনিশন কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বাচিপের সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, ‘‘আমরা তো রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতেই চাই৷ তবে চিকিৎসার পরিবেশ ভালো করতে পারলে রোগীদের সঙ্গে দূরত্ব কমবে৷ কে কেথায় চিকিৎসা নেবেন তার ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে৷ এখন আউটডোরে একজন চিকিৎসককে ৫০ জন রোগী দেখতে হয়৷ তখন তিনি হয়তো রোগীদের প্রতি ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারেন না৷ আবার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে যদি পকেট থেকে টাকা দিতে হয়, তাহলে এটাও রোগীর মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে৷ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসকরা একটা অংশ৷ পুরো ব্যবস্থাপনা তাদের হাতে নেই৷ কিন্তু দায় তাদের ওপরই পড়ে৷’’
তার কথা, ‘‘কোনো চিকিৎসক যদি ফৌজদারী অপরাধ করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা করায় তো কোনো বাধা নেই৷ প্রতিকার পেতে যে কেউ মামলা করতে পারেন৷ আবার বিএমডিসিতেও অভিযোগ করতে পারেন৷ অভিযোগ প্রমাণ হলে আমরা চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিলসহ আরো অনেক ব্যবস্থা নিই৷ আর সরকার নতুন একাটি আইন তৈরির শেষ পর্যায়ে আছে৷ সেটা হলে আমরা মনে হয় সেই আইনেও প্রতিকার পাওয়া যাবে৷’’
তিনি মনে করেন, ‘‘সবার উপরে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা , হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা উন্নত করা অনেক জরুরি৷ সেটা হলে অনেক জটিলতা কমে যাবে৷ সরকার কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে৷ যেমন: ফি বেঁধে দেয়া, হাসপাতালগুলোর মান অনুযায়ী এ, বি, সি এরকম বিভিন্ন ক্যটাগরি করে দেয়ার কাজ চলছে৷ এগুলো হলে রোগীরা বুঝতে পারবেন যে তিনি কোথায় চিকিৎসা নেবেন৷’’