1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুষ্টু গ্রহাণু দমন

২৪ আগস্ট ২০১৩

ভবিষ্যতে কোনো গ্রহাণুর আঘাতে পৃথিবীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে – এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না৷ সেই বিপদ এড়াতে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা নতুন উদ্যোগ শুরু করছে৷

https://p.dw.com/p/19VQr
ছবি: picture-alliance/AP

চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পৃথিবী দু-দুটি অ্যাস্টারয়েড বা গ্রহাণুর কাণ্ড দেখেছে৷ তার মধ্যে একটি সাইবেরিয়ার চেলিয়াবিনস্ক শহরের আকাশে প্রবেশ করেছিল৷ তার বিস্ফোরণের তীব্রতার মাত্রা ছিল হিরোশিমার আণবিক বোমার তুলনায় প্রায় ২০ থেকে ৩০ গুণ বেশি৷ একই দিনে দ্বিতীয়টি পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে চলে যায়৷ এমন আরও মহাজাগতিক বস্তু পৃথিবীর ক্ষতি করার মতলব আঁটছে কিনা, তা আগেভাগে জানতে পারলেই মঙ্গল৷

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা তিন বছরের জন্য একটি মহাকাশ টেলিস্কোপকে সেই কাজে ব্যবহার করছে৷ ২০০৯ সাল থেকেই ‘ওয়াইড ফিল্ড ইনফ্রারেড সার্ভে এক্সপ্লোলার' নামের এই মহাকাশ টেলিস্কোপ পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছে৷ মহাকাশের গভীরে যে সব মহাজাগতিক বস্তুর নিজস্ব আলো প্রায় দেখা যায় না, তাদের ইনফ্রারেড রশ্মি দেখে শনাক্ত করাই ছিল এই টেলিস্কোপের কাজ৷ এখনো পর্যন্ত প্রায় ৩৪,০০০ অ্যাস্টারয়েড বা গ্রহাণুকে চিহ্নিত করেছে৷ পৃথিবীর কাছাকাছি চলে এসেছিল, এমন ১৩৫টি গ্রহাণুও ধরা পড়েছে টেলিস্কোপের চোখে৷ মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মধ্যে অ্যাস্টারয়েড বেল্ট-এ বিচরণ করে এই সব গ্রহাণু৷

মূল কাজ শেষ হবার পর, অর্থাৎ ১৩ মাস কাজ করার পর টেলিস্কোপের বেশিরভাগ যন্ত্রপাতিই বন্ধ করে দিয়েছিল নাসা৷ কিন্তু নাসা এবার আগামী মাসে তার ঘুম ভাঙিয়ে সেটিকে নতুন করে কাজে লাগাতে চাইছে৷ ৩ বছর ধরে চলবে নতুন এই কর্মসূচি৷ ব্যয়ভার বছরে ৫০ লক্ষ ডলার৷

নাসার পরিকল্পনার বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে৷ প্রথমে টেলিস্কোপটি এমন সব গ্রহাণুর খোঁজ করবে, যেগুলি পৃথিবীর সঙ্গে সংঘাতের পথে যেতে পারে৷ তার চোখে এমন কোনো বিপজ্জনক অ্যাস্টারয়েড ধরা পড়লে সেখানে রোবোট সহ আরেকটি মহাকাশযান পাঠানো হবে৷ তার কাজ হবে হয় গোটা অ্যাস্টারয়েড, অথবা তার কিছু অংশ চাঁদের একটি কক্ষপথে ঠেলে দেয়া৷ তারপর মহাকাশচারীরা সেই গ্রহাণু পরিদর্শনে যাবেন৷ ২০২১ সাল নাগাদ ‘ওরিয়ন' নামের যে দূরপাল্লার ক্যাপসুল মহাকাশযান চালু হওয়ার কথা, তাতে করেই এই অভিযান চালানো হবে৷

তবে চিন্তার কারণ নেই৷ পৃথিবীর কাছাকাছি ঘোরাফেরা করে এমন বিপজ্জনক অ্যাস্টারয়েডগুলির মধ্যে নাসা এখনই প্রায় ৯৫ শতাংশই শনাক্ত করে ফেলেছে৷ আরও আশার কথা হলো, অর্থাভাবের কারণে সার্বিকভাবে নাসার বাজেটে কাটছাঁট করা হলেও পৃথিবীর আশেপাশের মহাজাগতিক বস্তু শনাক্ত করার কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ ২ কোটি ডলারের বাজেট দ্বিগুণ করার প্রস্তাব আনছে ওবামা প্রশাসন৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য