দুর্যোগ পীড়িত মানুষের পাশে জাপানের সম্রাট
১৪ এপ্রিল ২০১১১১ মার্চ জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভূমিকম্প ও সুনামিতে আশাহিতে নিহত হয়েছেন ১৩ জন৷ আহত হয়েছেন ১২ জন৷ সেই দুর্যোগের পর এই প্রথম সম্রাট ও সম্রাজ্ঞী ঐ এলাকা পরিদর্শন করছেন৷ ইতোমধ্যে তাঁরা টোকিওর উত্তরের কাজো শহর পরিদর্শন করেছেন৷ এবং শুক্রবার তাঁরা ফুকুশিমা দাইচি পরমাণু কেন্দ্রের আশপাশের এলাকার মানুষদের দেখতে যাবেন৷
এদিকে, ফুকুশিমা পরমাণু চুল্লির পাশের একটি গ্রামে ১০২ বছরের একজন বৃদ্ধ আত্মহত্যা করেছেন৷ বৃদ্ধের পরিবার বলছে, ভূমিকম্প এবং সুনামির কারণে আশ্রয়ের জন্য বারবার এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া এই বৃদ্ধের জন্য অত্যন্ত কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছিল৷ যে কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে মনে করছে তাঁর পরিবার৷
জাপানের বার্তা সংস্থা জিজি মঙ্গলবার এই বৃদ্ধের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে৷ তিনি ছিলেন ইটেট গ্রামের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি৷ আর ইটেট গ্রামটি ফুকুশিমা পরমাণু চুল্লি থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে৷ তেজস্ক্রিয়তার কারণে ফুকুশিমার আশেপাশের যে সব এলাকা থেকে লোকজনদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে তারমধ্যে এটি একটি৷ কর্তৃপক্ষ গত সোমবার এই গ্রামকে তেজস্ক্রিয় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে৷ মার্চের ১১ তারিখে জাপানের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামি হয়৷ এতে ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিখোঁজ হন৷ ১৯৮৬ সালে চেরোনোবিল পরমাণু চুল্লির দুর্ঘটনার পর সবচেয়ে বড় পরমাণু দুর্ঘটনা ঘটেছে ফুকুশিমায়৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন