1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুই দিনের মণিপুর সফরে রাহুল

২৮ জুন ২০২৩

অশান্ত মণিপুরে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। মণিপুরে সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪০।

https://p.dw.com/p/4T9Db
মণিপুর
ছবি: Prabhakar Mani Tiwari/DW

গত ৩ মে থেকে উত্তপ্ত মণিপুর। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে কুকি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মেইতেইদের। ঘরছাড়া প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলতে মণিপুরে যাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের অভিযোগ, মণিপুর যখন জ্বলছে, তখন অ্যামেরিকা সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কিন্তু মণিপুরে যাওয়ার সময় পাচ্ছেন না তিনি।

কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতি এবং শুক্রবার মণিপুর সফরে যাবেন রাহুল। তবে তার সফরসূচির বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মণিপুর সফরে গেছেন। স্থানীয় প্রশাসন এবং সেনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। শান্তি ফেরানোর আর্জি জানিয়েছেন সব পক্ষের কাছে। কিন্তু অশান্তি থামেনি। বরং শাহের সফরের পর বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ বেড়েছে। সেনাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় মানুষ। সেনার হাতে আটক হওয়া ব্যক্তিদের ছাড়িয়ে নিয়েছেন।

সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল অভিযোগ করেন, দেড় মাস ধরে মণিপুরে সহিংসতা চলছে। অথচ এখনো পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি জানিয়েছেন, রাহুল ঘরছাড়াদের শিবিরগুলি পরিদর্শন করবেন। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

মণিপুরে ঘরছাড়াদের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজারে গিয়ে ঠেকেছে। বহু মানুষ পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। আক্রান্তদের ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি হিসেবে সহিংসতার বলি এখনো পর্যন্ত ১৪০। অসামরিক সূত্রের দাবি সংখ্যাটি দেড়শর কাছাকাছি।

মণিপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মেইতেই গোষ্ঠীর। দীর্ঘদিন ধরে তারা জনজাতির মর্যাদা চাইছে। সংখ্যালঘু কুকি জনজাতির মানুষ এর বিরোধিতা করছে। এই নিয়েই গত ৩মে মণিপুরে তীব্র সংঘর্ষ হয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। সেই সংঘর্ষের জের এখনো চলছে। সেনার হাতেও বেশ কিছু সশস্ত্র আন্দোলনকারী নিহত হয়েছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)