দীপাবলির রাতে দেদার বাজি কলকাতায়
এবার বিপুল পরিমাণ বাজি বিক্রিও হয়েছে কলকাতায়। বিক্রেতাদের দাবি, গ্রিন বাজি বিক্রি হয়েছে। দূষণ কি কমলো?
কলকাতায় বাজির বাজার
কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় এবার বসেছে বাজির বাজার। চোখে পড়ার মতো ভিড় ছিল এবারের বাজি বাজারে।
গ্রিন বাজি কী
বাজি বিক্রেতাদের বক্তব্য, এই ধরনের বাজিতে এমন উপাদান ব্যবহার করা হয়, যা দূষণ ছড়ায় না। প্রশাসন এই ধরনের বাজি পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেয়। তারপরেই তা বাজারে বিক্রি হতে পারে।
পুলিশের টহল
বাজি বাজারে টহল দিচ্ছে পুলিশ। বেআইনি বাজি বিক্রি হচ্ছে কি না, সে দিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
শহরজুড়ে বাজির তাণ্ডব
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই বাজির দাপট শুরু হয় কলকাতায়। রাত যত বেড়েছে, ততই বেড়েছে বাজি ফাটার পরিমাণ। শব্দবাজির প্রকোপও বেড়েছে তাল মিলিয়ে।
শব্দেরর পরিমাণ বেশি
গ্রিন বাজি আসার আগেই কলকাতায় শব্দবাজির শব্দমাত্রা ৯৫ ডেসিবলে বাঁধা ছিল। কিন্তু এবছর তা ১২৫ ডেসিবলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিক্রেতাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের আইন অনুযায়ী ১২৫ ডেসিবল পর্যন্ত বাজির শব্দমাত্রা নির্ধারিত। তা-ই কলকাতাতেও এবার সেই মাত্রা ব্যবহার করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য
পরিবেশবিদ দীপায়ন দে মনে করেন, সবুজ বা গ্রিন বাজি ধারণাটাই ভুল। যে বাজিতে বারুদ ব্যবহার হয়, তা দূষণ ছড়াবেই। দেশের দূষণের যে পরিস্থিতি, তাতে কোনো বাজিই পরিবেশ-বান্ধব হতে পারে না।
বাজি পরিবেশ বান্ধ নয়
পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত দীর্ঘদিন ধরে বাজির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। তিনিও মনে করেন, সবুজ বাজি বা পরিবেশ-বান্ধব বাজি বলে বাজারে যা বিক্রি হচ্ছে, তা যথেষ্ট দূষণ ছড়াচ্ছে। দূষণের মাত্রার নির্দিষ্ট রেকর্ড তার কাছে আছে।
কলকাতার দূষণ
কলকাতার দূষণ মাত্রা এক লাফে অনেকটা বেড়েছে দীপাবলির রাতে। শুক্রবার সকালে গড়ে গোটা কলকাতার দূষণ মাত্রা ১০০ একিউআই ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধে সাতটা থেকে রাত একটার মধ্যে দূষণের পরিমাণ সবচেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। খেয়াল করলে দেখা যাবে, এই সময়েই সবচেয়ে বেশি বাজি ফাটানো হয়েছে।
দেদার ফাটছে বাজি
বৃহস্পতিবার গোটা কলকাতাজুড়ে এভাবেই বাজি ফেটেছে। প্রশাসনও বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
দিল্লির পরিস্থিতি
দূষণের কথা মাথায় রেখে দিল্লিতে বাজি ফাটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কলকাতার মতো না হলেও দিল্লিতেও সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ বাজি ফেটেছে।