1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দিল্লির কৃষকদের অর্গানিক চাষ শেখাচ্ছে আরবান ফার্মস

১ মে ২০২৪

ভারতের দিল্লির আশেপাশের গ্রামের কৃষকদের জন্য অর্গানিক কম্পোস্টের ব্যবস্থা করে ‘আরবান ফার্মস'৷ সে কারণে কৃষকদের এখন রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে না৷ তাই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে মাটি৷

https://p.dw.com/p/4fOUk
জমিতে বীজতলায় কাজ করছেন এক যুবক
আরবান ফার্মস নামের একটি সংগঠন কৃষকদের জৈব চাষে সহায়তা করছেছবি: DW

দিল্লির কাছে অবস্থিত পাল্লে গ্রামের কৃষক জাগবির ধামা বলছেন, তার এলাকার কৃষকদের চাষে অনেক পরিবর্তন এসেছে৷ কয়েক প্রজন্ম ধরে তার পরিবার সেখানে কৃষিকাজ করছে৷ ধামা বলেন, ‘‘আমার বাবার সময় কখনও অনেক পরিমাণে রাসায়নিক ব্যবহার করতে হয়নি, কারণ, তখন যমুনার পানি ছিল৷ কিন্তু বাঁধ তৈরি হওয়ার পর যমুনার পানি আর ক্ষেত পর্যন্ত আসছে না৷''

নদীর পানি থেকে পুষ্টি না পাওয়ায় অনেক কৃষক এখন গাছ বড় করতে ও পোকার আক্রমণ থেকে গাছ বাঁচাতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করছেন৷

সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টের গবেষণা বলছে, দিল্লির আশেপাশে ৬০ শতাংশের বেশি মাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ সেখানে আর প্রাকৃতিক উপায়ে ফসল ফলানো সম্ভব নয়৷

সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যাণ্ড এনভায়রনমেন্টের ভিনিত কুমার জানান, ‘‘বেশিরভাগ মাটির নমুনায় আমরা ম্যাক্রো ও মাইক্রো পুষ্টির স্পষ্ট ঘাটতি দেখতে পেয়েছি৷ অর্গানিক কার্বনের পরিমাণও অনেক কমে গেছে৷ মাটিতে পর্যাপ্ত পুষ্টি না থাকায় সেখানে জন্মানো ফসলেও যথেষ্ট পুষ্টি থাকবে না৷''

আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রথাগত পদ্ধতির মেলবন্ধনে জৈব চাষ

অথচ দিল্লির বাসিন্দারা এখন বেশি বেশিঅর্গানিক উপায়ে তৈরি ফল ও সবজি চাইছেন৷ একই সময়ে কৃষকদেরও তাদের জমিতে চাষ করে বেঁচে থাকতে হবে৷ সেজন্য স্বাস্থ্যবান ও উর্বর জমি প্রয়োজন৷

এই পরিস্থিতিতে আরবান ফার্মস নামের একটি সংগঠন যাত্রা শুরু করেছে৷ তারা প্রচলিত নিয়ম ধরে রেখে চাষের কাজ কীভাবে আরও উন্নত করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে৷ আরবান ফার্মসের বিকাশ আব্রাহাম বলেন, ‘‘আমরা জানি, মাইক্রোবায়োম বা মাইক্রোবায়োলজি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার পাশাপাশি পুষ্টি সরবরাহে বড় ভূমিকা রাখে৷ এ থেকেই আরবান ফার্মসের যাত্রা শুরু৷ ২০ বছরেরও বেশি সময় আগে আমরা যখন ‘পুনরুৎপাদনশীল কৃষি' শুরু করি, তখন থেকেই রাসায়নিকমুক্ত জৈব কৃষি করে যাচ্ছি৷ কিন্তু যখন আমরা এর বৈজ্ঞানিক বিষয়ের দিকে নজর দেওয়া শুরু করি, তখন আধুনিক বিজ্ঞানের দৃশ্যমানতার সাথে প্রচলিত নিয়মের মিশ্রন ঘটিয়েছি, এবং এমন এক মডেল তৈরির চেষ্টা করেছি যেন এই দেশের ছোট কৃষকেরা তা ব্যবহার করতে পারেন৷''

স্থানীয় ক্ষেত থেকে পাওয়া ফসলের আবর্জনা দিয়ে উচ্চমানসম্পন্ন কম্পোস্ট তৈরি করে আরবান ফার্মস৷ ধানের খড়, যেটা সাধারণত পুড়িয়ে ফেলা হতো, সেটির সঙ্গে কলা পাতা ও সবজির আবর্জনা মেশানো হয়৷

এরপর প্রচলিত কৃষিকাজের মতো নিয়মিত পানি দেওয়া হয়৷

জাগবির ধামাও আরবান ফার্মসে যোগ দিয়েছেন৷ এরপর থেকে তার মাটির গুণ অনেক বেড়েছে বলে জানান তিনি৷ এখন তিনি রাসায়নিক সারের পরিবর্তে অর্গানিক সার ব্যবহার করেন৷

আরবান ফার্মসের প্রতিনিধিরা নিয়মিত জাগবিরের জমি পরিদর্শন করেন৷ ফার্মিটোপিয়া নামের অ্যাপ ব্যবহার করে তারা শস্যের বিস্তারিত তথ্য লিপিবদ্ধ করতে পারেন, জমির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন ও কী পরিমাণ শস্য হবে তা বলতে পারেন৷ কৃষকদের চাষের নতুন কৌশল শিখতে ও তাদেরকে পুনরুৎপাদনশীল কৃষির নিয়ম শেখাতে পারে এই অ্যাপ৷

জেসিকা গোয়েল/জেডএইচ

সার হিসেবে মলমূত্রে ভরসা মেক্সিকোর কৃষকদের

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান