দিল্লিতে নয় বছরের দলিত মেয়েকে ধর্ষণ, হত্যা
৪ আগস্ট ২০২১বাড়ির পাশে শ্মশান। সেখানে কুলার থেকে ঠান্ডা জল আনতে গিয়েছিল নয় বছরের দলিত মেয়ে। শ্মশানেই তাকে ধরে ধর্ষণ ও হত্যা করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। তারপর তড়িঘড়ি করে শ্মশানের পুরোহিত মেয়েটির দেহ পরিবারের বিনা অনুমতিতে চিতায় তুলে দেয়। তার বাড়ির মানুষ এসে যখন চিতার আগুন নেভান, তখন কেবল তার পা পুড়তে বাকি। ওই পুরোহিত সহ চারজনকে প্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রাজধানীর এই ধর্ষণ নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল আলোড়ন। শুরু হয়েছে বিরোধীদের রাজনৈতিক আক্রমণ। তাদের লক্ষ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লির পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনেই কাজ করে। দলিত মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার দায় তাই দিল্লি পুলিশ ও অমিত শাহের ঘাড়ে চাপাতে চাইছেন বিরোধী নেতারা।
সেই রাজনীতিকে বাইরে রেখে বলা যায়, রাজধানীর বুকে যেভাবে নয় বছরের দলিত মেয়েকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে, তা নাড়িয়ে দেয়ার মতো। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সন্ধ্যায় দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলের পুরনো নাঙ্গাল এলাকায়। সেখানে শ্মশানে ঠান্ডা পানীয় জলের জন্য একটি কুলার বসানো হয়েছিল। সেখান থেকেই ঠান্ডা জল আনতে গিয়েছিল মেয়েটি। মাকে বলেও গিয়েছিল। কিছুক্ষণ পরে সেখানে মন্দিরের পুরোহিত পরিবারের লোককে ডেকে বলে, মেয়েটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। মেয়েটির ডান হাতে পোড়া দাগ ছিল। ঠোঁট নীল হয়ে গেছিল।
পুরোহিত তাদের বলে, পুলিশে জানানোর দরকার নেই। তাহলে ঝামেলা হবে। বরং মেয়েটির দেহ দ্রুত সৎকার করে দেয়া হোক। এরপর মেয়ের মা বাড়ি ফেরেন তার স্বামীকে জানানোর জন্য। ইতিমধ্যে পুরোহিত মেয়েটির দেহ শ্মশানেই পুড়িয়ে দেয়। তারপর শুরু হয় স্থানীয় মানুষের বিক্ষোভ। পুলিশ আসে। তারা চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
সোচ্চার হন রাহুল গান্ধী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, দলিত নেতা চন্দ্রশেখর আজাদরা। তাদের প্রশ্ন, দিল্লিতে কেন মেয়েদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ মোদী-শাহ?
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এনডিটিভি)