দলত্যাগীদের জয় কর্ণাটকে
৯ ডিসেম্বর ২০১৯বেশির ভাগ দলত্যাগীকে জিতিয়ে এনে কর্ণাটকে সরকারকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে পারলেন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা। সংখ্য়াগরিষ্ঠতা পাওযার জন্য় ইয়েদুরাপ্পার দরকার ছিল আপাতত ছটি আসন, সেখানে বিজেপি জিতেছে ১২টিতে। কংগ্রেস দুটি ও অন্যরা একটি আসনে জিতেছে। ফলে মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা সফল। এই কাজটাই মহারাষ্ট্র বা বাংলায় করে দেখাতে পারেননি নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ জুটি। বাংলায় গিয়ে মোদী ঘোষণা করেছিলেন, ৬০ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপি-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সেই দাবি বাস্তবায়িত হয়নি। মহারাষ্ট্রে অজিত পাওয়ারকে ভাঙিয়ে এনে সরকার করেও তা মাত্র ৮০ ঘন্টা ধরে রাখতে পেরেছিল বিজেপি। এই দুই ব্যর্থতার পর কর্ণাটক তাঁদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ''লোকে এমন ব্যবস্থা করে দিয়েছে, যাতে কংগ্রেস ও জেডিএস কর্ণাটকের লোকের সঙ্গে আর বিশ্বাসঘাতকতা করতে না পারে। এটা সব রাজ্যের লোকেদের মাথায় রাখতে হবে, তাদের রায় যাঁরা বদলাতে চাইবে, তাঁদেরও যেন শাস্তি পেতে হয়।'' বিরোধীরা অবশ্য বারবার অভিযোগ করেছেন, গোয়া, মণিপুর, বিহার, সিকিম এমনকী কর্ণাটকেও বিজেপি জনগণের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে সরকার গঠন করেছে।
কর্ণাটকে চ্য়ালেঞ্জটা ছিল প্রধাণত কংগ্রেসের ও কিছুটা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার দল জেডিএসের। কংগ্রেসের ১২জন বিধায়ক দলত্যাগ করে বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। তার মধ্যে মাত্র দুজনকে হারাতে পেরেছে কংগ্রেস। দলের নেতা ডি কে শিবকুমার বলেছেন, ১৫টা কেন্দ্রের ভোটদাতাদের মধ্যে অধিকাংশই দলত্য়াগীদের মেনে নিয়েছে। আর আমরাও তাই এই হারকে মেনে নিলাম। হার না মেনে কোনও উপায় নেই, কারণ, কংগ্রেস দক্ষিণ বারতে তাঁদের শক্ত ঘাঁটিতে উপনির্বাচনে গো-হারা হেরেছে।
তবে বিজেপি নেতাদের একাংশের দাবি, এই জয় হল ধুরন্ধর রাজনীতিক ইয়েদুরাপ্পার জয়। এটা দলগতভাবে বিজেপি-র জয় নয়, বরং বলা যেতে পারে ইয়েদুরাপ্পার জনপ্রিয়তা ও তাঁর কুশলী রাজনীতির জয়। কারণ যাই হোক না কেন, দক্ষিণ ভারতে একমাত্র রাজ্যে ক্ষমতা দখলে রাখতে পারবে বিজেপি।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এনডিটিভি)