থাইল্যান্ডের লোপবুরিতে বানরভীতি কমেছে
থাইল্যান্ডের ঐতিহাসিক শহর লোপবুরিতে মারাউডিং প্রজাতির বানরদের আর গুলির সম্মুখীন হতে হবে না। গত চার বছর ধরে বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের একত্রিত করে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। শহরটি পর্যটকদের কাছে 'মাঙ্কি সিটি' হিসেবে পরিচিত।
ক্রসিং পারাপার
ফিরা-প্রাং-সাম-ইয়োট মন্দিরের পার্শ্ববর্তী একটি রেল ক্রসিং অতিক্রম করলে দেখা যায় লম্বা লেজের একটি দ্য ম্যাকাক্স বানরকে। লোপবুরিতে ম্যাকাক্স বানরকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শহরটির সঙ্গে এদের সম্পর্ক বেশ পুরনো।
খাবার ছিনতাই
লোপবুরির এক সড়কে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের হাত থেকে খাবার ছিনিয়ে নিতে দেখা যায় একটি বানরকে। শহরটির এক বাসিন্দা বলছিলেন, "তারা আমদের কাছ থেকে যে কোনো কিছু চুরি করে নিয়ে যেতে পারে।’’ তবে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বেশ শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে।
খাবার দিচ্ছে নগরবাসী
৬০ বছর বয়সি স্থানীয় বাসিন্দা সুমালী শ্রীচম্পু বিগত ১২ বছর ধরে বানরদের ঘাবার সরবরাহ করে আসছেন। ফিরা-প্রাং-সাম-ইয়োট মন্দিরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বানরদের প্রতিদিন তিনি নানা ধরনের সবজি খাবার হিসেবে দিয়ে থাকেন। করোনা মহামারির আগে থেকেই শহরটির ৫৮ হাজার বাসিন্দা মাঝে মাঝে তাদের আশে পাশের এলাকার বানরদের খাবার দিয়ে আসছে।
নেয়া হচ্ছে চিকিৎসাকেন্দ্রে
জাতীয় উদ্যান, বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ সংরক্ষণ অধিদপ্তরের লোকজন শহরের বিভিন্নও অঞ্চল থেকে লম্বা লেজ বিশিষ্ট একটি দ্য ম্যাকাক্স বানরকে খাঁচায় করে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছে। তারা যেন কোন ধরনের জীবাণু ছড়াতে না পারে তাই জীবাণুমুক্তকরণের জন্যেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
দে দৌড়
জাতীয় উদ্যান, বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ সংরক্ষণ অধিদপ্তরের লোকজন লোপবুরি শহরের বানরদের ধরে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিতে গেলে শুরু হয়ে যায় তাদের দৌড়ঝাঁপ। পালিয়ে বেড়াতে আশেপাশে থাকা ময়লার ঝুড়িতেও লুকানোর চেষ্টা করে কিছু ছোট বানর।
ছুরি-কাঁচির নিচে বানর
হাসপাতালের বিছানায় থাকতে কার-ই বা ভালো লাগে। লোপবুরি শহরের পর্যটন এলাকা ও তার আশেপাশে ম্যাকাক্সের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাদের ধরে ধরে এনে জীবাণুমুক্ত করছে শহরটির বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ। একটি ছোট বানরকে হাত-পা বেঁধে জীবাণুমুক্তকরণের কার্যক্রম চলছে।