1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তৃণমূলের সঙ্গে জোট: অধীরদের সঙ্গে বৈঠক রাহুল, খাড়গের

২১ ডিসেম্বর ২০২৩

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে জোটে যাবে কংগ্রেস? রাজ্য নেতাদের মত জানতে দীর্ঘ বৈঠক করলেন রাহুল-খাগড়েরা।

https://p.dw.com/p/4aQOP
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের সঙ্গে কথা বললেন খাড়গে, রাহুল গান্ধীরা। ছবি: Imago Images/Hindustan Times

ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ভারতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে  রাজ্যগুলিতে বিরোধী জোটের তরফ থেকে একজন প্রার্থী দাঁড় করানোর চেষ্টা হবে। কংগ্রেস যেহেতু জোটের প্রধান উদ্যোক্তা, তাই তারা এই বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। জোটের আসন সমঝোতার বিষয়টি দেখার জন্য একটি কমিটি করে দিয়ছেন খাড়গে।

কিন্তু তারপর বড় প্রশ্ন থেকে গেছে পশ্চিমবঙ্গে কী হবে? এই প্রশ্নের মুখে পড়ে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতাদের মধ্যে মতপার্থক্য আবার সামনে এসেছে। এই সমস্যার সমাধান করতে প্রথমেই রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, কে সি বেনুগোপালরা বসেছিলেন অধীর চৌধুরী, দীপা দাশমুন্সিদের সঙ্গে।

রাজ্যের প্রবীণ নেতা আব্দুল মান্নান ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, তিনি এই বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না, সেটা আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছেন। কারণ, তার আগে থেকে ঠিক করা কর্মসূচি আছে।

কংগ্রেস নেতারা জানিয়েছেন, বৈঠকে রাহুল গান্ধী বলেছেন, তিনি তৃণমূলকে আসন সমঝোতা নিয়ে কোনো কথা দেননি।

সূত্র জানাচ্ছে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও লোকসভায় বিরোধী নেতা অধীর চৌধুরী বৈঠকে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের তীব্র বিরোধিতা করে বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলই রাজ্যে কংগ্রেসের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। তাই তাদের সঙ্গে জোট করা উচিত নয়। তার দাবি, মুর্শিদাবাদ, বহরমপুর. জঙ্গিপুর, মালদহের দুইটি আসন, রায়গঞ্জ ও দার্জিলিংয়ে কংগ্রেস ভালো অবস্থায় আছে।

দীপা দাশমুন্সিও জোট চাননি। তিনিও জানিয়েছেন, তৃণমূলের সঙ্গে জোট করলে তার বিরুপ প্রভাব দলের কর্মীদের উপর পড়বে। তার মতে, বামেদের সঙ্গে জোটেই থাকা উচিত।

তবে কয়েকজন নেতা জোটের পক্ষেও বলেছেন। তারা জানিয়েছেন, সম্মানজনক শর্তে জোট হওয়া উচিত।

বৈঠকের পর অধীর বলছেন, ''আমাদের মতামত নেয়া হয়েছে। আমরা তা বৈঠকে জানিয়েছি। ''

রাজ্য কংগ্রেস নেতারা বলেছেন, যা সিদ্ধান্ত নেয়ার তা  হাইকম্যান্ড নেবে। সম্ভবত তাদের আবার বৈঠকে ডাকা হবে।

বৈঠকের পর রাহুল গান্ধী এনিয়ে কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি। তিনি মৃদু হেসে কংগ্রেস অফিস সদরদপ্তর থেকে চলে যান।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুইদিন আগেই দিল্লিতে বলেছিলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে তিনি জোট চান। তবে এটা মনে রাখতে হবে, কংগ্রেস গত নির্বাচনে দুইটি আসনে জিতেছিল। তিনি জোট নিয়ে কংগ্রেস, এমনকী বামেদের সঙ্গেও তিনি আলোচনা করতে রাজি।

প্রতিবারই পশ্চিমবঙ্গে জোট নিয়ে কংগ্রেসে রীতিমতো আলোড়ন দেখা দেয়। এবারও হয়েছে। প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তার মতে, ''এতদিন বামেদের সঙ্গে সমঝোতা করে কংগ্রেস লড়ছে। এখন তাদের ছেড়ে তৃণমূলের সঙ্গে লড়লে বিশ্বাসযোগ্যতায় আঘাত লাগবে। আবার ইন্ডিয়া জোটের কথাও কংগ্রেসকে মাথায় রাখতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে সমঝোতা না করলে তারও একটা বিরুপ প্রভাব জোটে পড়বে।''

শরদ মনে করেন, ''এমনিতে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস খুব বেশি আসন জয়ের জায়গায় নেই। একা বা বামেদের সঙ্গে লড়লে, তারা খুব বেশি হলে দুইটি আসন পেতে পারে, আসন কমার সম্ভাবনাও থাকছে। তবে পুরোটাই নির্ভর করবে, মমতা কয়টি আসন ছাড়তে চান তার উপর।''

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)