1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্ক সীমান্তে ১০ হাজার শরণার্থী আটকে দিল গ্রিস

১ মার্চ ২০২০

গ্রিস জানিয়েছে, তারা প্রায় ১০ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীর তুরস্ক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অনুপ্রবেশ ঠেকিয়েছে৷ এদিকে, তুরস্ক বলছে ৭৬ হাজার অভিবাসী এরই মধ্যে সীমান্ত পেরিয়েছে৷ সীমান্তে ‘হাই অ্যালার্ট' জারি করেছে ইইউ৷

https://p.dw.com/p/3YgwX
Türkei Flüchtlinge überqueren den Evros-Fluss, um Griechenland zu erreichen
ছবি: picture-alliance/AA/O. Coban

২০১৫ সালে ইউরোপমুখী শরণার্থীর ঢল নামার পর তাদের আটকাতে তুরস্কের সঙ্গে একটি চুক্তি করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ ওই চুক্তির আওতায় তুরস্ক প্রায় ৩৬ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে৷

তারপর থেকে ইউরোপের সঙ্গে যে কোনো দরকষাকষিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এর্দোয়ান নিয়মিতই ‘শরণার্থীদের ছেড়ে' দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন৷ গত বৃহস্পতিবার রাতে সিরিয়ার ইদলিবে তুরস্কের সেনাঘাঁটিতে বাশার আল-আসাদ বাহিনীর হামলায় ৩৩ তুর্কি সেনা নিহতের পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে

গত আট বছর ধরে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে৷ তুরস্কের সেনাঘাঁটিতে  হামলার পর শুক্রবার এর্দোয়ানের দলের মুখপাত্র ওমর কেলিক বলেন, ‘‘তুরস্কের পক্ষে শরণার্থীদের ‘আর ধরে রাখা সম্ভব না'৷''

এরপরই তারা সীমান্ত খুলে দেয় এবং শরণার্থীদের ঢল নামে৷ শনিবার এক বিবৃতিতে গ্রিস সরকারের এক মুখপাত্র জানান, ১৩ হাজার শরণার্থী তুরস্ক-গ্রিস সীমান্তে জড়ো হয়েছেন৷

স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে গ্রিক উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলকিভিয়াদিস স্টেফানিস বলেন, ‘‘শনিবার ভোর ছয়টা থেকে থেকে রোববার ভোর ছয়টা পর্যন্ত এভ্রোস অঞ্চলে ৯ হাজার ৯৭২ জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে৷''

স্টেফানিসের দাবির সঙ্গে অবশ্য তুরস্কের বক্তব্য মিলছে না৷ তারা দাবি করছে, এরই মধ্যে ছিয়াত্তর হাজার অভিবাসী তুরস্ক থেকে গ্রিসে ঢুকে পড়েছে৷

‘‘সকাল ৯:৫৫টা পর্যন্ত এদিরনে অঞ্চল দিয়ে পার হওয়া অভিবাসীর সংখ্যা ছিয়াত্তর হাজার ৩৫৮,'' তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু টুইট করেন৷

তবে শনিবার রাত ও রোববার সকালে অনেক অভিবাসী গ্রিসে প্রবেশ করেছেন৷

ডয়চে ভেলের গ্রিস সংবাদদাতা ফ্লোরিয়ান স্মিৎস বলেন, ‘‘এখানে ২২০ শরণার্থী লেসবস উপকূল দিয়ে ঢুকেছেন এবং তাদের একটি ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে৷'' বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকে কমপক্ষে ৫০০ শরণার্থী গ্রিসে ঢুকে পড়েছেন৷ তবে তুরস্কের সীমান্তের কাছে আরো হাজারো মানুষ অপেক্ষায় আছেন৷

ডয়চে ভেলের তুরস্ক সংবাদদাতা জুলিয়া হানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘প্রথমে খবরে শুনলাম সীমান্ত খুলে দেয়া হয়েছে৷ এখন বুঝতে পারছি, এটি একটি রাজনৈতিক খেলা ছাড়া আর কিছু নয়৷''

অন্যদিকে, বুলগেরিয়া জানিয়েছে, তাদের সীমান্ত দিয়ে তুরস্ক থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারেনি৷

এদিকে, ইইউ সীমান্ত প্রতিরক্ষা সংস্থা ফ্রনটেক্স জানিয়েছে, তারা তুরস্কের কাছে সীমান্তগুলোতে ‘জরুরি সতর্কতা' জারি করেছে৷

জেডএ/এআই (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)