তিস্তা চুক্তি
৩ মে ২০১২প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বৈঠক পিছিয়ে গেল৷ বৈঠক হবে শুক্রবার বিকেলে৷ মমতা বৃহস্পতিবার দেখা করেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণার সঙ্গে৷
বুধবার নতুন দিল্লিতে আসার পর বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের যে বৈঠক হবার কথা ছিল, তা পিছিয়ে দেয়া হয়৷ নির্ধারিত বৈঠক বসবে শুক্রবার বিকেলে৷ যে তিনটি বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের জোট সরকারের সঙ্গে শরিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের চাপান-উতোর চলছিল, তাই একটা সন্তোষজনক সমাধান খোঁজার চেষ্টা হবে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বিকেলে কংগ্রেস সভানেত্রী তথা ইউপিএ সরকারের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর ১০নং জনপথের বাসভবনে যান৷ সরকারিভাবে এটাকে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ বলা হলেও দুই নেত্রীর মধ্যে কিছু রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মত বিনিময় হয় বলে জানা গেছে৷ যেমন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, রাজ্যে কংগ্রেস-তৃণমূল সম্পর্ক ইত্যাদি৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঐকমত্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত বলে মনে করেন৷ কেন্দ্রে জোট সরকার সহমতের ভিত্তিতে প্রার্থী দিলে তৃণমূল তাঁকে সমর্থন করতে পারে৷ তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আলোচনা সাপেক্ষ, বলেন তিনি৷
এর আগে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণার সঙ্গে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়৷ জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা নদীর জলবণ্টন চুক্তি রূপায়ণে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সহযোগিতা চাওয়া হয়৷ ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্কের অনেকটাই নির্ভর করছে তাঁর সহযোগিতার ওপর৷ পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ না করে কীভাবে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়িত করা যায়, তার একটা সমাধানসূত্র বের করা জরুরি৷ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এস.এম কৃষ্ণা এই বার্তাই দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷
উল্লেখ্য, আগামী শনিবার অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় যাচ্ছেন ঢাকায়৷ যৌথভাবে রবীন্দ্র সার্ধ শতবার্ষিকী উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে৷ ঢাকায় তিনি দেখা করবেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে৷ এদিকে সোমবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. দীপু মনি আসছেন নতুন দিল্লিতে, ভারতে রবীন্দ্র জয়ন্তীর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে৷ তিনিও ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মিলিত হবেন৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন