ঢাকায় বড়লোকদের বিয়ে নিয়ে পাঠকরা যা জানালেন...
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬যে সব বিয়ের আয়োজনে শুধুমাত্র হল ভাড়াই পড়ে ৫ থেকে ২০ লাখ টাকা আর সব মিলিয়ে খরচ হয় কোটি টাকারও বেশি, সে সব বিয়ে সম্পর্কে আনোয়ার হোসেনের মত, ‘‘এত ঘটা করে বিয়ে হওয়ার কারণেই নাকি বিয়েগুলো বিয়ে বেশিদিন টেকে না৷''
ডয়চে ভেলের ফেসবুকে পাঠক নিজাম উদ্দিন জমকালো বিয়ে সম্পর্কে লিখেছেন, ‘‘ভালো চরিত্রের মানুষ হওয়াটাই বড়৷ এত টাকা যারা বিয়েতে করচ করে, তাদের বেশিরভাগই চরিত্রহীন৷''
মো. ইরফান দুঃখ করে জানিয়েছেন, যে দেশে মানুষ দু'বেলা পেট ভরে খেতে পায় না, সেদেশে এ সব মানায় না৷ তাঁর মন্তব্যটি ঠিক এরকম: ‘‘এক দিকে মানুষ দু' বেলা খেতে পায় না, চিকিৎসার অভাবে মারা যায়, টাকার অভাবে হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রণা সহ্য করে৷ আর অন্যদিকে লোক দেখানোর জন্য বিয়ে বাড়িতে কোটি কোটি টাকা অপচয় করে৷ হায়রে মানুষ!''
মো. নাসেরের মতে, ‘‘অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই, অবৈধ টাকায় সবই হয়৷''
বিয়ের বিশেষ দিনটিতে, বিশেষ সাজে নিজেকে অপরূপা দেখাক কোন মেয়ে না চায়? এমনই মত আমাদের ফেসবুক-বন্ধু নীলাঞ্জনা আর অনিলতার৷ প্রতিবেদনটির সাথে দেয়া বাংলাদেশের সুন্দরী অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির বিয়ের সাজের ছবিটি পাঠক অনিলতা চাঁদের খুবই পছন্দ হয়েছে৷ সে কথাই তিনি লিখেছেন ডিডাব্লিউ-র ফেসবুক পাতায়৷ আর মন্তব্যটি পড়ে পাঠক নীলাঞ্জনা, অনিলতাকে লক্ষ্য করে শান্তনা দিয়ে লিখেছেন, ‘‘বোন মন খারাপ করো না, মেয়েদের দুঃখ মেয়েরা বোঝে৷''
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনটিতে জমকালো বিয়েতে এত খরচের ধূম দেখে মো. রিয়াজুল করিম বেশ মজা করে লিখেছেন, ‘‘তাহলে তো প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করাই ভালো৷''
ঢাকার পাঁচতারা হোটেল, সেনাকুঞ্জ, সেনা মালঞ্চ, বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার, বিজিবি-র দরবার হলে কিংবা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে এত ঘটা করে আর কোটি টাকা খরচ করে বিয়ে করার খবর জেনে পাঠক নীরব ওয়াসিফ ফেসবুকে শুধু লিখেছেন, ‘‘দেশে প্রতিনিয়ত শিক্ষিত লোকের সংখ্যা বাড়লেও সুশিক্ষিত লোকের সংখ্যা দিনদিন কমছে৷''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ