1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কূটনীতিক নিহত

৬ মার্চ ২০১২

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের একজন কূটনীতিক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন৷ খালাফ আল আলি নামের ৪৫ বছর বয়সের এই কূটনীতিক সৌদি দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব ছিলেন বলে জানা গেছে৷ তিনি গুলশান এলাকায় বসবাস করতেন৷

https://p.dw.com/p/14FlH

সোমবার রাত সোয়া ১২টার  দিকে সৌদি কূটনীতিক খালাফ আল আলি গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কে তার বাসার কাছেই গুলিবিদ্ধ হন৷ স্থানীয়রা তাকে কাছের ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে মঙ্গলবার ভোর রাত ৫টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন৷ গুলশান থানার তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক নুরে আযম জানান, তারা রাত সোয়া ১টার দিকে টেলিফোনে তার গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর জানতে পারেন৷ তিনি গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কেরই ২২/এ নম্বর বাড়ির ৪ তলার ভাড়া বাসায় একাই থাকতেন৷ তাকে তার বাসা থেকে ৫০ গজ দূরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়৷ তিনি বাম পাঁজরে গুলিবিদ্ধ হন৷ নুরে আযম জানান, রাতে তার জগিংয়ের অভ্যাস ছিল৷ কখনো তিনি বাইসাইকেল নিয়ে আবার কখনো পায়ে হেঁটে জগিংয়ে বের হতেন৷ সোমবার রাত ১১টার পর তিনি পায়ে হেঁটে জগিংয়ে বেরিয়েছিলেন৷

ব়্যাব-১ এর পরিচালক রাশিদুল হাসান জানান, ঠিক কী কারণে সৌদি কূটনীতিক খালাফ আল আলিকে হত্যা করা হয়েছে সেবিষয়ে তারা এখনো নিশ্চিত নন৷ তারা ছিনতাইসহ আরো একাধিক কারণ নিয়ে কাজ করছেন৷

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু তার নিহত হওয়ার ঘটনাকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে জানিয়েছেন৷

ভোরে সৌদি রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা ইউনাইটেড হাসপাতালে ছুটে যান৷ তবে তাদের কেউই সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি৷ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সৌদি কূটনীতিকের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক এবং সমবেদনা প্রকাশ করেছে৷ বিকেলে খালাফ আল আলির মরদেহ ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় ময়না তদন্তের জন্য৷ ময়না তদন্তের পর লাশ হিমঘরে রাখা হয়েছে৷ দূতাবাস সূত্র জানায়, লাশ সৌদি আরবে পাঠানো হবে৷ দ্বিতীয় সচিব খালাফ আল আলী সৌদি দূতাবাসের হেড অব সৌদি সিটিজেন অ্যাফেয়ার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য