ঢাকার শেয়ার বাজারে টানা দরপতন
১৫ নভেম্বর ২০১১মতিঝিল ঢাকা স্টকএক্সচেঞ্জের সামনে একজন হতাশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী তার নিজের মৃত্যু কামনা করেন৷ কারণ তার পুঁজি কেড়ে নিয়েছে শেয়ার বাজারের পতন৷ তার সামনে এখন আর কোন আশার আলো নেই৷ এরকম আরো অনেক ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারী জানান তাদের হতাশার কথা৷ তারা দরপতনের জন্য দায়ী করেন সরকারকে৷
কোরবানির ঈদের পর শেয়ারবাজারে দরপতনের ধারা অব্যাহত থাকে৷ টানা ৪ দিনের দরপতনে শেয়ার বাজারের সূচক ৫০০০ পয়েন্টের নীচে নেমে গেছে৷ গত জানুয়ারিতে শেয়ার বাজারের ব্যাপক ধসের পরও সূচক ৫০০০ পয়েন্টের উপরে ছিল৷ আর আজ ২২৮ পয়েন্ট কমে গিয়ে সূচক দাড়িয়েছে ৪৬৪৯ পয়েন্টে৷ বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন ৫০০০ পয়েন্টের নীচে সূচক নামার মানে হল শেয়ার বাজার তার পতনের শেষ প্রান্তে চলে গেছে৷ তবে এজন্য এখন পুরো অর্থনৈতিক অবস্থাকেই দায়ী করা হচ্ছে৷ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, মানুষের সঞ্চয় কমে গেছে আর ব্যাংকগুলোতে শুরু হয়েছে তারল্য সঙ্কট৷ যার প্রভাব পড়ছে শেয়ার বাজারে৷
আর অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ বলছেন, ব্যাংকগুলো তারল্য সংকট কাটতে সুদের হার বাড়িয়েছে৷ ফলে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ হচ্ছেনা৷ অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, শেয়ার বাজারের পতন ঠেকাতে সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও তা আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি৷
অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ বলেন, বাজার থেকে যে টাকা বাইরে চলে গেছে তা ফিরে আসেনি৷ আর ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীর মধ্যে এখন সক্রিয় মাত্র দুই থেকে আড়াই লাখ৷ স্বাভাবিক কারণেই শেয়ার বাজারে দরপতন হবে৷
একদিকে দরপতন আর আরেকদিকে বিনিয়োগকারীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, আহাজারি৷ এই হল এখন প্রতিদিনের শেয়ার বাজারের চিত্র৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক