ডেঙ্গু সম্পর্কে এসব জেনে রাখুন
ডেঙ্গুর উপসর্গ, চিকিৎসা, খাবার এসব বিষয়ে তথ্য থাকছে ছবিঘরে৷
ডেঙ্গু কতটা মারাত্মক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীর হালকা উপসর্গ দেখা দেয়৷ তবে কোনো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না, এমনও হতে পারে৷ এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গু ভালো হয়ে যায়৷ খুব কমক্ষেত্রে ডেঙ্গু মারাত্মক হতে পারে এবং মৃত্যুও হতে পারে৷
উপসর্গ
সাধারণত সংক্রমণের চার থেকে ১০ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়৷ এবং সেগুলো দুই থেকে সাতদিন থাকে৷ উপসর্গগুলো হলো উচ্চ জ্বর (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট), চোখের পেছনে ব্যথা, পেশী ও জয়েন্টে ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, ব়্যাশ দেখা যাওয়া ইত্যাদি৷
মারাত্মক ডেঙ্গুর উপসর্গ
সাধারণত জ্বর চলে যাওয়ার পর মারাত্মক ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো দেখা যায়৷ এগুলো হলো সাংঘাতিক পেটে ব্যথা, অবিরাম বমি, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস, মাড়ি বা নাক দিয়ে রক্তপাত, ক্লান্তি, অস্থিরতা, বমি বা মলে রক্ত, খুব পিপাসা লাগা, ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, ত্বক ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া ও দুর্বল বোধ করা৷ এসব উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে৷
ডেঙ্গু হলে যা খাবেন
এইসময় প্রোটিন ও আয়রনসমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে৷ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে আছে মাছ, মুরগির মাংস, চর্বিহীন গরু বা ছাগলের লাল মাংস, ডিম, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার৷ আর আয়রনের জন্য পালংশাক, কলিজা, মিষ্টিকুমড়া, ডালিম, মটরশুঁটি, ছোলা, মসুর ডাল, কচুশাক খাওয়া যেতে পারে৷
চিকিৎসা
ডেঙ্গুর কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা ব্যথার ওষুধ দিয়ে ঘরেই করা যায়৷ ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে৷ তবে আইবুপ্রোফেন ও অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয় কারণ এগুলো রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে৷ এছাড়া ডেঙ্গু হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে এবং প্রচুর তরল পান করতে হবে৷
দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু হলে...
যারা দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তাদের ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করার ঝুঁকি বেশি থাকে৷
ক্লান্তি বোধ
ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠার কয়েক সপ্তাহ পর পর্যন্ত ক্লান্তি বোধ থাকতে পারে৷