1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডুসেলডর্ফের হাইনরিশ হাইনে ইউনিভার্সিটি

২৫ জুলাই ২০১১

নর্থরাইন ওয়েস্ট ফেলিয়া রাজ্যে অবস্থিত ডুসেলডর্ফ ইউনিভার্সিটি৷ বলা প্রয়োজন, ডুসেলডর্ফ হচ্ছে নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের রাজধানী৷ পড়াশোনার পাশাপাশি সংস্কৃতিরও গভীর অনুশীলন হয় এই শহরটিতে৷

https://p.dw.com/p/122mJ
বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচার হলে ছাত্রছাত্রীরাছবি: picture alliance/dpa

ডুসেলডর্ফের হাইনরিশ হাইনে ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৫ সালে৷ তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ছিল ‘ডুসেলডর্ফ এ্যাকাডেমি অফ এ্যাপ্লাইড মেডিসিন'৷ ডুসেলডর্ফ অত্যন্ত ব্যস্ত একটি শহর৷ এর মূল কারণ হল এটি নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের রাজধানী৷ রাজনীতি ছাড়াও সংস্কৃতি এবং বিনোদনের জন্য ডুসেলডর্ফ শহরটি বেশ পরিচিত৷ আর ‘ফ্যাশন-সিটি' হিসেবেও ডুসেলডর্ফ গোটা ইউরোপে নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে৷

ডুসেলডর্ফে রয়েছে বেশ নামি এ্যাকাডেমি অফ আর্টস, বেশ কিছু সংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং সংরক্ষিত উদ্যান৷ আর এই সবকিছুই ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের কাছেই অবস্থিত৷

ডুসেলডর্ফ বিশ্ববিদ্যালয়ে সবমিলে প্রায় ১৬ হাজার ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছে৷ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন এক হাজার সাতশো জন এবং তাদের মধ্যে প্রায় ২৬০ জন প্রফেসর৷ এদের সহযোগিতা করার জন্য রয়েছেন আরো প্রায় ৬ হাজার এ্যাকাডেমিক স্টাফ৷

বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে পাঁচটি অনুষদ এবং অনুষদগুলোর অধীনে ৫০টি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা যায়৷ অনুষদগুলো হচ্ছে, আইন, গণিত এবং সাধারণ বিজ্ঞান, চিকিৎসাবিদ্যা, মানবিক এবং ব্যবসা প্রসাসন ও অর্থনীতি৷ এসব অনুষদে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্যাচেলর, মাস্টার্স এবং পিএইচডি করার সুযোগ দিচ্ছে হাইনরিশ হাইনে ইউনিভার্সিটি অফ ডুসেলডর্ফ৷

ক্যাম্পাসের কাছেই ব্যস্ত মার্কেট

ক্যাম্পাসের বাইরে রয়েছে অসংখ্য দোকান৷ ক্রেতারা ধিরে ফিরে দেখছে৷ কেউ কেনাকাটায় ব্যস্ত আবার অনেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন৷ একজন মহিলা বললেন,‘‘আমি এমনি শহরটি ঘুরে ফিরে দেখি৷ দোকানে-দোকানে যাই৷ কিছুই কিনি না৷ এই পরিবেশটি আমার দারুণ লাগে৷ সেটা উপভোগ করার জন্যই আসি৷''

আরেকজন মহিলার ভাষ্য,‘‘এখানে সবকিছু বেশ পরিচ্ছন্ন, উন্নতমানের৷ দেখার অনেক কিছুই আছে ডুসেলডর্ফ শহরে৷''

এক ভদ্রলোক জানালেন,‘‘বিশেষ করে ক্রিসমাসের সময় পুরো শহরটি অত্যন্ত সুন্দরভাবে সাজানো হয়৷ কোয়েনিগ্স আলে আমাদের বেশ পছন্দের একটি জায়গা৷''

Hörsaal der Düsseldorfer Universität
ডুসেলডর্ফ বিশ্ববিদ্যালয়ে সবমিলে প্রায় ১৬ হাজার ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছেছবি: AP

ডুসেলডর্ফ আর্টস এ্যাকাডেমী

রাইন নদি বয়ে গেছে ডুসেলডর্ফ শহরের মধ্যে দিয়ে৷ নদির আশেপাশেই রয়েছে শিল্পকলা এ্যাকাডেমি৷ ডুসেলডর্ফের আর্টস এ্যাকাডেমীর প্রধান টনি ক্র্যাগ বললেন, ‘‘বাস্তব সত্য হল ডুসেলডর্ফের যে ঐতিহ্য তা বেশ পুরনো৷ ৫০, ৬০ এবং ৭০-এর দশকের সেসব ঐতিহ্য এখনো টিকে রয়েছে গর্বের সঙ্গে৷ সেই সময় অনেক শিল্পী এখানে পড়াশোনা করেছেন, শিক্ষকতাও করেছেন এক পর্যায়ে৷ এখানেই তারা কাজ করেছেন আর এসব অসাধারণ এবং নিখুঁত শিল্পকলার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে৷ অবশ্যই ডুসেলডর্ফ সংস্কৃতি চর্চার একটি আদর্শ স্থান৷''

ডুসেলডর্ফ শহরটি আধুনিক স্থাপত্যের জন্য সুনাম কুড়িয়েছে৷ শহরটি বেশ বড় কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়া কখনো ছেড়ে যায়নি ডুসেলডর্ফকে৷ শহরের নক্সা ও নির্মাণের সঙ্গে জড়িত গ্রেগর বনিন৷ তিনি জানালেন,‘‘ডুসেলডর্ফের প্রতিটি ভবনের নক্সা, স্থাপত্য-রীতি দেখার মত, ভাববার মত এবং তা নিয়ে আলোচনার করার মত৷ যদি কোন ভবন বা নক্সা নিয়ে কেউ কোন কথা না বলে বা আলোচনা না করে এর অর্থ হবে ‘এটা কোন নক্সাই হল না'৷ সেই ভবনের প্রতি কেউ কোন আগ্রহও দেখাবে না৷ আর্কিটেকচার এমন একটি বিষয় যা নিয়ে সাধারণ মানুষ কথা বলবে, আলোচনা করবে এবং সমালোচনাও হবে৷ সবকিছুই এর সঙ্গে জড়িত৷ ডুসেলডর্ফ নদি বন্দরও৷ বন্দর শহরের বৈশিষ্ট্যই আলাদা৷ প্রতিটি ভবন, সেতু নিজে থেকেই কথা বলবে৷ এটাই হল সবচেয়ে বেশি মনোমুগ্ধকর৷''

আর বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের কারণে ডুসেলডর্ফ শহরটি পেয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের একটি রঙিন ছোঁয়া৷ ইউরোপে জাপানি অভিবাসীদের সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ডুসেলডর্ফে৷ প্রমীলা বিশ্বকাপের সময় ডুসেলডর্ফের জাপানি অভিবাসীরা মেতেছিল অন্য এক উন্মাদনায়৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য