ট্রাম্প-কিম সাক্ষাতে শান্তির হাতছানি?
৩০ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনেতা কিম জং উন-এর আবার দেখা৷ এবারের সাক্ষাৎস্থল দুই কোরিয়ার মাঝের ‘ডিমিলিটারাইজড জোন’৷ এবার কি তবে শান্তি আসন্ন?
তৃতীয়বার মুখোমুখি
এক বছরের মধ্যে এই নিয়ে তিনবার দেখা হলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনেতা কিম জং উন-এর৷ এর আগের দুই সাক্ষাতে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিকীকরণ কমানো বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট দিশা পাওয়া যায়নি৷
ইতিহাস গড়লেন ট্রাম্প
দুই কোরিয়ার মাঝে রয়েছে ‘ডিমিলিটারাইজড জোন’ বা অসামরিক অঞ্চল৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি এই অঞ্চলে যান৷ গত ৩০শে জুন সেখানেই দেখা করেন ট্রাম্প ও কিম৷
আগে দক্ষিণ, পরে উত্তর
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে দেখা করার আগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জায় মুনের সাথে বৈঠক করেন ট্রাম্প৷ অতীতের অন্যান্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতো ট্রাম্পও দক্ষিণ কোরিয়ার অধীনের অসামরিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন৷
‘অসাধারণ বন্ধুত্ব’
ট্রাম্প-কিম সম্পর্কে চলতি বছরে ঘটেছে দারুণ বিবর্তন৷ ৩০ জুনের বৈঠকের পর কিম জং উন-এর সাথে তাঁর সম্পর্ককে ‘অসাধারণ বন্ধুত্ব’-পূর্ণ বলেন ট্রাম্প৷ এর আগে কিম জং উন-কে ‘লিটল রকেট ম্যান’ নাম দিয়েছিলেন তিনি, যার সাথে ‘দারুণ রসায়ন’ রয়েছে ট্রাম্পের অ্যামেরিকার৷
কোনো তাড়াহুড়ো নেই
এতদিন ধরে শান্তির প্রশ্নে কোনো নির্দিষ্ট সমাধান না আসার পেছনে ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ং একে অন্যকেই দোষারোপ করে এসেছে৷ কিন্তু এবারের সাক্ষাতের পরে দুই দেশের প্রধানই শোনাচ্ছেন আশার কথা৷ কিন্তু ট্রাম্প সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, তিনি এ বিষয়ে কোনো তাড়াহুড়ো করবেন না৷
আসলেই কি শান্তি সম্ভব?
বিশেষজ্ঞদের মতামত, এত সহজে অ্যামেরিকার সব দাবি মেনে নেবে না কিম জং উনের সরকার৷ স্যাটেলাইট ছবি থেকে জানা গেছে যে, নতুন রকেট প্রক্ষেপণস্থল নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল উত্তর কোরিয়া ফেব্রুয়ারি মাসেই৷ এছাড়া উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে পারমাণবিকীকরণের গুরুত্ব থাকার ফলে বিশেষজ্ঞরা দুই দেশের মধ্যে শান্তির সম্ভাবনা নিয়ে সন্দিহান৷