ট্রাভেল ডায়েরি: ই-কারে চার দেশ
ডয়চে ভেলের সাংবাদিক ওয়ারডা ইমরান এবং মেডেলিন পিট জার্মান ভাষাভাষী চারটি দেশ - জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, লিখটেনস্টাইন এবং অস্ট্রিয়া ভ্রমণ করেছেন ইলেক্ট্রিক কারে করে৷ তাদের দুই সপ্তাহের ভ্রমণের কয়েকটি ছবি পাবেন এখানে৷
প্রথম দিন: যাত্রা শুরু!
নানা গবেষণা এবং ফোন কলের পর আমাদের যাত্রা শুরু করা সম্ভব হয়৷ প্রথমে ব্যাগ আর ভিডিও ইকুইপমেন্ট নিয়ে আমরা স্টুটগার্টে যাই ট্রেনে করে৷ সেখানে ই-কার ড্রাইভ করার জন্য প্রশিক্ষণ নেই৷ এবং সবশেষে বাডেন-ভ্রুটেমবের্গ রাজ্য থেকে গাড়ি নিয়ে থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করি৷
দ্বিতীয় দিন: মন্ত্রমুগ্ধকর ব্লাওটফ
ডয়চে ভেলের দর্শকরা আমাদের প্রথম গন্তব্য ঠিক করে দিয়েছেন৷ জার্মানির দক্ষিণে জঙ্গলে বড় গাছের মধ্যে লুকিয়ে ছিল আমাদের গন্তব্য৷ নীল-সবুজ ব্লাওটফ লেক দেখে আমরা এতটাই মুগ্ধ হই যে কয়েক ঘণ্টা সেখানে কাটাই৷
তৃতীয় দিন: সুইজারল্যান্ডে গাড়ি চালানো
ডয়চে ভেলের ইন্সটাগ্রামে দর্শকদের ভোটে আমাদের দ্বিতীয় গন্তব্য নির্ধারিত হয় সুইজারল্যান্ডে৷ সেই গন্তব্যের কথা পড়ে জানাচ্ছি৷ দ্বিতীয় দিন আমাদের মূলত গাড়ি চালাতে হয়েছে জার্মান-সুইস সীমান্ত ধরে৷ কনস্টান্স থেকে বেরিয়ে লুকার্নের পথে আমাদের দীর্ঘসময় যানজটে থাকতে হয়েছিল৷
চতুর্থ দিন: ট্রেনে চড়ে চূড়ায়
আমাদের দ্বিতীয় গন্তব্য ছিল একটি মাউন্টেন রেলওয়ে৷ লুকার্নে বিশ্বের সবচেয়ে খাড়া কগহুইল ট্রেনের আমাদের যাত্রা বেশ রোমাঞ্চকর ছিল৷
পঞ্চম দিন: ঐতিহ্যবাহী সুইস মেন্যু
ঐতিহ্যবাহী সুইস খাবার পরখ করার জন্য আমরা জুরিখের সুইস রেস্টুরেন্টে যাই৷ সেখানকার চিজ বেশ বিখ্যাত৷ চিজে ডুবিয়ে রুটি খেতে বেশ ভালো লেগেছে৷
ষষ্ঠ দিন: টারাস্প কাসেল
সুইজারল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে পাহাড়ের চূড়ায় এই কাসেলটি সত্যিই অনন্য৷ আপনি যদি রাজপ্রাসাদের ভক্ত হন তাহলে অবশ্যই এখানে আসতে পারেন৷
সপ্তম দিন: লামা ড্রামা
এই দিন আমাদের ‘সারপ্রাইজ জেম’ ছিল চার পায়ের আর লম্বা গলার একটি প্রাণী৷ ছোট্ট দেশ লিখটেনস্টাইনে যাওয়ার পথে আমাদের পরিকল্পনা ছিল লামা এবং আলপেকাসের সঙ্গে হাইকিংয়ে যাওয়ার৷ আমাদের সঙ্গ দেয়া এই প্রাণীটির নাম এলভিস৷
অস্টম দিন: পরিকল্পনায় অনাকাঙ্খিত পরিবর্তন
আমাদের প্রিয় ই-কার হাইডি আর আমাদের সঙ্গে যেতে রাজি হয়নি৷ তিনটি আলাদা দেশে চারবার আমরা সেটির ব্যাটারি চার্জ দেয়ার চেষ্টা করে বুঝলাম যে এটির কোনো যান্ত্রিক গোলোযোগ রয়েছে যা আমাদের পক্ষে ঠিক করা সম্ভব নয়৷ যদিও গাড়িটি চালানোর অভিজ্ঞতা চমৎকার ছিল, কিন্তু ই-কার আসলে পুরোপুরি ঝামেলামুক্ত নয়৷
নবম দিন: আবারো রাস্তায়
হাইডির বদলে নতুন আরেকটি গাড়ি পেয়েছি আমরা৷ সেটি নিয়ে অস্ট্রিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করি৷ সময় স্বল্পতার কারণে একটি গন্তব্য বাদ দিয়ে আমরা অসধারণ রেটেনবের্গে যাই৷ অস্ট্রিয়ার সবচেয়ে ছোট্ট এই শহরটিতে রঙিন বিভিন্ন ভবনের দেখা মেলে৷
দশম দিন: পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বরফের গুহা
পূর্বদিকে চার ঘণ্টা গাড়ি চালানোর পর একটি ক্যাবল কার ট্রিপ এবং তুষারের মধ্যে দিয়ে হাইকিংয়ের পর আমরা আইসরাইজেনভেল্টে পৌঁছাই৷ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বরফের এই গুহা এক কথায় অসাধারণ৷
একাদশ দিন: লেক লজ
অস্ট্রিয়া ত্যাগ করার সময় হয়েছে৷ আমাদের চূড়ান্ত গন্তব্য বাভারিয়া৷ মিউনিখের কাছে ইয়েৎসেনডর্ফে লেক লজ এবং ট্রিহাউস খুবই সুন্দর৷ সময় এবং সুযোগ থাকলে অবশ্যই আসতে পারেন এখানে৷
দ্বাদশ দিন: রোড ট্রিপের সমাপ্তি
আমাদের ভ্রমণের শেষদিন বাভারিয়ান আল্পসের বিভিন্ন ঐতিহ্যে পূর্ণ ছিল৷ আমরা অফটেনশোয়ানের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষে একটি এল্পহর্ন বাজিয়েছি৷ আর এর মাধ্যমে আমাদের ভ্রমণের সমাপ্তি ঘটে৷ আমাদের এই ভ্রমণ সম্পর্কে আরো জানতে ডয়চে ভেলের ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট ডিডাব্লিউ_ট্রাভেল অনুসরণ করতে পারেন৷