টেস্ট ক্রিকেটে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করলেন ইউনুস
১১ ডিসেম্বর ২০১১তবে এজন্য ইউনুসের ভাগ্যকেও ধন্যবাদ দিতে হয়, নয়তো ১৩৮ রানের মাথাতেই শেষ হয়ে যেতো তার ইনিংস৷ রুবেল হোসেনের বলে ইলিয়াস সানির হাতে ধরা পড়লেও আম্পায়ার নো-বল কল করেন৷ ফলে বাংলাদেশের শিবিরে নেমে আসে হতাশা৷ এর আগের দিন ৯৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ইউনুস খান৷ আজ দিনের শুরুতেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি৷ তাঁকে অবশ্য যোগ্য সহযোগিতা দিয়েছেন পাকিস্তানের আরেক ব্যাটসম্যান আসাদ শফিক৷ টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি৷ তবে এতে বাংলাদেশি ফিল্ডারদেরও অবদান রয়েছে৷ আসাদের ৪৩ রানের মাথায় তাঁর ক্যাচ ফেলে দেন রুবেল হোসেন৷ শেষ পর্যন্ত ১০৪ রান করেন তিনি৷ অন্যদিকে ইউনুস খানের ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন পাকিস্তানি অধিনায়ক মিসবাহ উল হক৷ ২৯০ বলে করা ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংসে রয়েছে ১৮টি চার এবং তিনটি ছয়ের মার৷ পাকিস্তানের আরেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজও এই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন৷ তিনি করেন ১৪৩ রান৷ পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে ৫৯৪ রান৷ বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ ছিল মাত্র ১৩৫ রান৷
এদিকে ৪৫৯ রানে পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয়৷ দিন শেষে টাইগারদের সংগ্রহ চার উইকেটে ১৩৪ রান৷ উইকেটে এখনও টিকে রয়েছেন সাকিব আল হাসান আর ওপেনার নাজিমুদ্দিন৷ দুজনেরই সংগ্রহ ৪১ রান করে৷ গত বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে যেন দুঃস্বপ্ন ভর করেছে৷ দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেও মনে হচ্ছিলো সেটা অব্যাহত রয়েছে৷ মাত্র ৮০ রানের মাথায় চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন নাসির হোসেইন৷ এরপর সাকিব ব্যাটিংয়ে নামার পর যেন কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে৷ অন্তত সাকিবের ব্যাটে আবারও সেই পুরনো সুর শোনা যাচ্ছে৷ ইনিংস পরাজয় ঠেকাতে সেটাই এখন বাংলাদেশ শিবিরে একমাত্র আশার আলো৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই