টিআইবি কর্মকর্তাদের কুমিল্লার মামলা খারিজ
২৬ ডিসেম্বর ২০১০রোববার রাত ৮টার দিকে জেলার বিচার বিভাগীয় হাকিম আদালতের বেঞ্চ সহকারী টিপু মজুমদার বার্তা সংস্থা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ''২০৪ ধারায় সময় মতো 'ওয়ারেন্ট প্রসেস' দাখিল না করায় মামলাটি খারিজ করা হয়েছে৷''
এর আগে বিচার বিভাগীয় জ্যেষ্ঠ হাকিম গাজী সাইদুর রহমান টিআইবি প্রধান এম হাফিজউদ্দিন খানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন৷
মামলায় নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান ও গবেষক ওয়াহিদ আলমকেও আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয় আদালত৷
বিচার বিভাগের দুর্নীতি নিয়ে টিআইবি জরিপকে কেন্দ্র করে মামলাটি করেন কুমিল্লার আইনজীবী মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান৷
বাদির আইনজীবী আমিনুল ইসলাম টুটুল জানান, ''মামলার নম্বর ও লিখিত আদেশ বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত না পাওয়ায় আমরা ওয়ারেন্ট প্রসেস দাখিল করতে পারিনি৷''
তিনি আরো বলেন, মামলা দাখিল ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির দিনই ওয়ারেন্ট প্রসেস দাখিল না করায় মামলা খারিজের ঘটনা নজিরবিহীন এবং এটাই বোধহয় প্রথম ঘটনা৷
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, টিআইবির জরিপ প্রতিবেদনে বিচার বিভাগকে সেবাখাতের শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখানোয় বিচার বিভাগের মান মর্যাদা এবং সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে৷ একজন আইনজীবী হিসেবে বাদির সম্মানহানি হয়েছে৷
সেবা খাতের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে গত ২৩শে ডিসেম্বর খানা (পরিবার) জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে টিআইবি৷ এতে বলা হয়, সেবা খাতের মধ্যে বিচার বিভাগে দুর্নীতি বেশি হয়৷ ঘুষ লেনদেন বেশি হয় উচ্চ আদালতে৷ ৬৪টি জেলার ৬ হাজার খানার ওপর গত বছরের জুন থেকে এ বছরের জুন পর্যন্ত এই জরিপ চালানো হয় বলে টিআইবি জানায়৷ জরিপের তথ্য প্রকাশ অনুষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, জরিপের ফলাফলের চেয়ে দেশে দুর্নীতির আসল চিত্র আরো প্রকট৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: জাহিদুল হক