টানা দুই ম্যাচে হারলো শালকে, স্তম্ভিত ভোল্ফসবুর্গ
২৯ আগস্ট ২০১০প্রথমে শালকে বনাম হ্যানোভারের ম্যাচ৷ গতবারের রানার্স আপদের রক্ষণভাগ যে কতটা দুর্বল তা হামবুর্গের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচের পর গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচেও বেশ স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়লো৷ হ্যানোভারের স্ট্রাইকাররা সুযোগ মিস না করলে এই ম্যাচে আরও কমপক্ষে দুটি গোল খেত শালকে৷ ম্যাচের শুরুর দিকে ৩১ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে নেন হ্যানোভারের কন্সটান্টিন রাউশ্চ৷ এরপর তাদের আক্রমণ আরও বাড়তে থাকে৷ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মানুয়েল শিডেবাখের কাছ থেকে দারুণ একটি পাস পেয়ে যান নতুন স্ট্রাইকার মোহামেদ আবদেলাউ৷ চমৎকার ফিনিশিং, দুই গোলে এগিয়ে যায় হ্যানোভার৷ এর বাইরে আরও একটি দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন মোরিট্জ স্টোপেলকাম্প৷ তবে তার শট বারে লাগে৷ খেলার ৮২ মিনিটের মাথায় শালকের জেরমাইন জোন্স একটি গোল শোধ করেন৷ তবে এরপরও ম্যাচে সমতা ফেরানোর মত মনে হয়নি তাদের৷
এদিকে শালকের পরাজয়কে অপ্রত্যাশিত বললে ভোল্ফসবুর্গেল পরাজয়কে বলতে হয় অবিশ্বাস্য৷ ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নরা মাইন্সের কাছে হেরেছে ৪-৩ গোলে৷ অথচ খেলার শুরুতে তিন গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ভোল্ফসবুর্গ৷ বসনিয়ান স্ট্রাইকার এডিন জেকো দুটি গোল করেন, এরপর ৩০ মিনিটের মাথায় নতুন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার দিয়েগোও আরও এক গোল করেন৷ তখনও কেউ ভাবতে পারেনি ম্যাচের শেষটি এভাবে হবে৷ নয় মিনিট পর একটি গোল শোধ করেন মাইন্সের রাসমুসেন৷ দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পরও খেলা ছিল ভোল্ফসবুর্গের দিকেই৷ কিন্তু ৪৮ মিনিটের সময় এলকিন সোতো এবং ৫৮ মিনিটের সময় আন্দ্রে শ্যুরলে গোল শোধ করে দিলে অনেকটা খেই হারিয়ে ফেলে ভোল্ফসবুর্গের খেলোয়াড়রা৷ নির্ধারিত সময়ের চার মিনিটি আগে মাইন্সের আডাম জালাই জয়সূচক গোলটি করে বসেন৷ এভাবে হারার কথা কল্পনাও করতে পারেনি ভোল্ফসবুর্গের খেলোয়াড়রা৷ দলের কোচ স্টিভ ম্যাকলারেন বলেন, আসলে আজ যা ঘটেছে সেটার ব্যাখ্যা দেওয়া সত্যিই কঠিন৷ এই ধরনের পরাজয় আমি আর কখনো দেখিনি৷
এদিকে অন্য ম্যাচে ফ্রাংকফুর্টকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে হামবুর্গ৷ হামবুর্গের ডাচ স্ট্রাইকার রুদ ফান নিস্টলরয় দুই ম্যাচে তিন গোল করে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন৷ অন্যদিকে হফেনহাইম ১-০ গোলে সেইন্ট পাউলিকে হারিয়েছে৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক