জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের
১৯ ডিসেম্বর ২০২৩বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। পাঁচটি মুসলিম সংগঠনের করা আবেদন খারিজ করে দে
য়া হলো। শুধু তা-ই নয়, ১৯৯১ সালে হওয়া মন্দির-মসজিদ বিতর্ক নিয়ে যে দেওয়ানি মামলা হয়েছিল, তা ছয়মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বারাণসী আদালতকে।
বিতর্কের সূত্রপাত
বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের চত্বরেই আছে ঐতিহাসিক জ্ঞানবাপী মসজিদ। ১৯৯১ সালের মামলায় বলা হয়েছিল, মসজিদের ভিতরে আদি বিশ্বেশ্বর মূর্তির সংরক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার দিতে হবে। সেখানে নিয়মিত পূজার্চনার অধিকারও চাওয়া হয়েছিল। এই মামলার বিরোধিতা করে পাল্টা আবেদন করেছিল পাঁচটি মুসলিম সংগঠন। তার জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি যেমন আছে, তেমনই আছে উত্তরপ্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড। তিনটি আবেদন ১৯৯১ সালের মামলাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছিল।
এলাহাবাদ হাইকোর্ট ওই পাঁচটি আবেদনই এদিন খারিজ করে দিয়েছে। বস্তুত, গত ৮ ডিসেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন রায় স্থগিত রেখেছিল। মঙ্গলবার তা দেওয়া হলো।
১৯৯১ সালে প্লেস অফ ওয়ার্শিপ অ্যাক্ট তৈরি হয়েছিল ভারতে। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট থেকে যে কোনো ধর্মীয় স্থান যেখানে যেমন আছে তেমনই থাকবে, এমনটাই বলা হয়েছিল ওই আইনে। কিন্তু ১৯৯১ সালে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্ক নিয়ে যারা মামলা করেছিলেন, তাদের বক্তব্য হলো, স্বাধীনতার অনেক আগের এই বিতর্ক। ফলে তা ১৯৯১ সালের আইন মোতাবেক বিচার করা ঠিক হবে না।
আদালতের এদিনের রায়ের পর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বিতর্ক এক অন্য স্তরে পৌঁছালো। এখন দেখার বারাণসী আদালত ছয় মাসের মধ্যে এবিষয়ে কী সিদ্ধান্ত জানায়।
২০২৪ সালে ভারতে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই বিতর্ক রাজনৈতিক স্তরে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য এর আগে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির বিতর্কের ফয়সলা হয়েছে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে। বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে। আগামী ২২ জানুয়ারি তার উদ্বোধন। গেরুয়া শিবির দীর্ঘদিন ধরে মূলত তিনটি মসজিদ নিয়ে বিতর্ক চালাচ্ছে। এক নম্বরে ছিল বাবরি মসজিদ। দ্বিতীয় জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং তৃতীয় মথুরার মসজিদ, যা কৃষ্ণজন্মভূমি বলে দাবি করা হচ্ছে। মথুরার মন্দির-মসজিদ বিতর্কও এখন আদালতে আলোচিত হচ্ছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)