1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিব্রাজিল

জি-টোয়েন্টির বিবৃতিকে স্বাগত জানালো কপ২৯

১৯ নভেম্বর ২০২৪

বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী মোট কার্বন নির্গমনের তিন-চতুর্থাংশ করে জি-টোয়েন্টি দেশগুলো৷ তাই জলবায়ু অর্থায়ন বিষয়ে তাদের মতের দিকে তাকিয়ে ছিল আজারবাইজানের বাকুতে চলমান জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেওয়া কর্তৃপক্ষগুলো৷

https://p.dw.com/p/4n9DT
জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও ইউক্রেন, গাজা ও লেবাননের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে৷
জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা ছবি: Ricardo Stuckert/PR

এই অবস্থায় সোমবার রাতে একটি বিবৃতি ইস্যু করেন জি-টোয়েন্টি দেশগুলোর নেতারা৷ একটি শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে তারা এখন ব্রাজিলে রয়েছেন৷ ঐ সম্মেলনের প্রথম দিন ছিল সোমবার৷ সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানান বিষয় নিয়ে তারা কথা বলেন৷ এরপর রাতে প্রকাশ করা বিবৃতিতে জি-টোয়েন্টি নেতারা বলেন, তারা বাকুর সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছার বিষয়টি সমর্থন করছেন৷

এবারের জলবায়ু সম্মেলনের অন্যতম মূল লক্ষ্য, জলবায়ু অর্থায়ন বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছা৷ বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী, ধনী দেশগুলো বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ৷ তবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো চায়, এই অর্থের পরিমাণ অনেক বেশি বাড়ানো হোক৷ তবে সপ্তাহখানেক ধরে চলা জলবায়ু সম্মেলনে এই বিষয়ে আলোচনা স্থবির হয়ে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন৷ শুক্রবার সম্মেলনটি শেষ হবার কথা৷

জি-টোয়েন্টি নেতাদের বিবৃতিতে অর্থায়ন বিষয়ে ‘ইতিবাচক সংকেত' পাওয়া গেছে বলে মনে করছেন গ্রিনপিস এর কর্মী জেস্পার ইনভেনটর৷ তবে সম্মেলনের বাকি দিনগুলোতে এই ইতিবাচক সংকেতকে একটি সুনির্দিষ্ট চুক্তিতে পরিণত করতে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন তিনি৷ 

জলবায়ু সম্মেলন মাছের বাজারের মতো: ড. ইউনূস

এদিকে, জি-টোয়েন্টির বিবৃতিতে জলবায়ু অর্থায়ন ‘সব সূত্র' থেকে আসতে হবে বলে যে মন্তব্য করা হয়েছে তাতে খুশি নন ‘জি৭৭+চীন' গ্রুপের চেয়ারম্যান আডোনিয়া আয়েবারে৷ তিনি বলেন, গরিব দেশগুলো অনুদান চায়, ঋণ নয়৷

উন্নয়নশীল দেশগুলোর গোষ্ঠী হচ্ছে জি৭৭+চীন৷

জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে আর যা নিয়ে আলোচনা হলো

জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও ইউক্রেন, গাজা ও লেবাননের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ ইউক্রেন যুদ্ধ ‘থামাতে' সহায়তা করতে জি-টোয়েন্টির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন ও ব্রাজিল৷ এই দেশ দুটি রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে ইউক্রেনকে চাপ দিচ্ছে৷

এদিকে, গাজা ও লেবাননে ‘সর্বাঙ্গীণ' যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জি-টোয়েন্টি নেতারা৷ গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে জাতিসংঘে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুসরণ করা উচিত বলে মনে করেন তারা৷ ঐ প্রস্তাবে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হামাসকে সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে৷

বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য একটি বৈশ্বিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের আয়োজক দেশ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডা সিলভা৷ তার এই উদ্যোগে ৮২টি দেশ যুক্ত হয়েছে৷

জি-টোয়েন্টির দেশগুলো হলো আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি,মেক্সিকো, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, জাপান, ভারত, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)