1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির সবচেয়ে কম বয়সি পরিবেশকর্মী

৫ নভেম্বর ২০২৪

লেনি ক্রাউট৷ বয়স ১১৷ জার্মানির এই শিশু নিজ উদ্যোগে তার শহরের কাছে একটি বন গড়ে তুলছে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে যে সংকট তৈরি হচ্ছে তা কমাতে সে নিজে কিছু করতে চেয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4mdjw
DW Sendung Euromaxx  | Lennys Wald
লেনির কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে কারবেন শহর ইতিমধ্যে আরও নতুন জায়গায় বনায়নের পরিকল্পনা করছেছবি: DW

তিনটি ফুটবল মাঠের সমান জায়গায় প্রায় ১৭ হাজার চারা রোপন করেছে লেনি৷ নিজ শহর কারবেনে এই বন গড়ে তুলছে সে৷

লেনি জানায়, পরিবারের সঙ্গে গ্রিসের ক্রিট দ্বীপে ঘুরতে গিয়ে এই পরিকল্পনা তার মাথায় আসে৷ সে বলছে, ‘‘পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে ক্রিটে গিয়েছিলাম৷ সেখানকার মাটি অনেক শুষ্ক৷ ফেরার পথে আমরা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলেছিলাম৷ এই সংকট কাটাতে আমি কিছু করতে চেয়েছিলাম৷ আমি চাইনি আমার শহরও এমন হয়ে উঠুক৷ তাই অর্থ সংগ্রহ করা শুরু করি৷''

অনেক মানুষই ভাবেন, তাদের কিছু করা উচিত, কিন্তু লেনি সেটা করে ফেলেছে৷ দুই বছরে সে প্রায় ৩২ হাজার ইউরো তুলেছিল৷ এই অংকটা ৪০ হাজার করে দিয়েছিল তার শহরের কর্তৃপক্ষ, আর জমিও দিয়েছে৷

স্থানীয় বন বিভাগের কর্মী একহার্ড রিশটার সেরা গাছ বাছতে সহায়তা করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে বিষয়টা দারুণ লেগেছে৷ ৩০ বছর ধরে বন বিভাগে কাজ করছি৷ এত বড় এলাকায় পুনর্বনায়নের সুযোগ আগে কখনও হয়নি৷ আগে এটা শস্যক্ষেত ছিল৷ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখানে ইতিমধ্যে পড়েছে৷ অনেক বিচ গাছ দুর্বল হয়ে গেছে, কিছু মরে গেছে৷ স্প্রুস গাছ প্রায় হারিয়েই গেছে৷যে গাছগুলো লাগানো হয়েছে সেগুলো শুষ্ক ও উষ্ণ আবহাওয়ায় ভালো থাকে৷’’

১১ বছর বয়সে ১৭ হাজার গাছ লাগিয়েছে যে পরিবেশকর্মী

লেনি তার নিজ হাতে গড়া অফিসে বসে প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছে৷ পোস্টার এঁকেছে, পরবর্তী করণীয় ঠিক করেছে৷ গত দুই বছরে প্রকল্পটা শুধু বড় হয়েছে৷ পরিকল্পনা করার পর প্রথমে সে মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছে বলে জানিয়েছে৷ লেনি বলছে, ‘‘প্রথমে মেয়রের সঙ্গে কথা বলি, কারণ, আমিতো আর যেখানে মন চায় সেখানে গাছ লাগাতে পারি না৷ এরপর তহবিল সংগ্রহ শুরু করি, আর কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করি৷ এরপর টিভি থেকে একটা দল আসে, যদিও আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিনি৷ তারাই আমার কাছে এসেছিল!’’

লেনি পুরো শহরের মানুষের সমর্থন পেয়েছে- আর তার মা-বাবার কাছ থেকেতো অবশ্যই৷ তারা তার সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগের বিষয়টি দেখাশোনা করেছেন৷

লেনির মা-বাবা তাকে নিয়ে গর্বিত৷ ‘‘আমরা লেনিকে নিয়ে গর্বিত, কারণ, সে শুধু পরিকল্পনা করে বসে না থেকে কাজ করেছে৷ দুই বছর ধরে সে কাজ করছে, দমে যায়নি৷ একটা শিশুর জন্য এই সময়টা অনেক দীর্ঘ,'' বলেন লেনির মা কিম ক্রাউট৷

লেনির লাগানো গাছ এখনো ছোট থাকলেন এগুলো এখনই পরিবেশ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নিয়ে জলবায়ুকে সহায়তা করছে৷

ইয়েন্স ফন লারখার/জেডএইচ